অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে) সিডনির লাকেম্বার ইউনাইটেড হলে অস্ট্রেলিয়া বিএনপি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী পালন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. হুমায়ের চৌধুরী রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সেলিমা রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী পালন কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার হাবিব রহমান, মো. আবুল হাছান ও এএনএম মাসুমের পরিচালনায় অস্ট্রেলিয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এনামুল হক ভূইয়া, সাবেক সভাপতি মনিরুল হক জর্জ, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী স্বপন, সাবেক সহ সভাপতি রুহুল আহম্মেদ সওদাগর, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট নাসির উল্লাহ, বিএনপি নেতা প্রকৌশলী সোহেল ইকবাল মাহমুদ, একেএম ফজলুল হক শফিক, এসএম নিগার এলাহী চৌধুরী, হাবিব মোহাম্মদ জকি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি তারেক উল ইসলাম তারেক, জাসাসের আব্দুস সামাদ শিবলু, যুবদলের ইঞ্জিনিয়ার মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. আব্দুল ওহাব বকুল, খাইরুল কবির পিন্টু, মোহাম্মদ ফরিদ মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম খালেদ, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া থেকে সাইদুল ইসলাম মন্টু, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মোহাম্মদ জাকির হোসেন রাজু, বেলাল হোসেন ঢালী, আশরাফুল আলম নাহিদ, মোহাম্মদ কুদ্দুসুর রহমান, মোহাম্মদ নাসির আহম্মেদ, নাজনিন খানম, লিন্টাস পেরেরা, আরমান হোসেন ভূইয়া, অসিত গোমেজ, আব্দুস সাত্তার, অ্যাডভোকেট মমিন আহম্মেদ, সুধন যোসেফ ক্রুশ, জাহিদ আবেদীন, আবুল কাশেম, মোহাম্মদ বাচ্চু, নাসির উদ্দিন বাবুল, মোহাম্মদ আবু সাঈদ কুদরী, আব্দুল করিম, সোহেল পালমা, এলভিস কস্তা, এলবার্ট রোজারিও, এম এ ইউছুফ, মোমিন মোল্লা, গোলাম মোস্তাফাসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত এবং খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের শারীরিক সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন মাওলানা ফেরদৌস আহম্মেদ।

অতিথিরা তাদের বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ কবে স্বাধীন হতো কেউ জানে না। আর এই আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছিলেন ওনার শাসনামলে বহু দলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে বহু দলীয় গণতন্ত্র সবই তো জিয়া পরিবারের অবদান।

সভাপতির বক্তব্যে ড. হুমায়ের চৌধুরী রানা বলেন, বিএনপিকে শেষ করতে দেশিবিদেশি ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়। কিন্তু যারা ভেবেছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে, তাদের মুখে চুনকালি মেখে দিয়ে খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে নেমে এসেছিলেন। তার নেতৃত্বে দেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাসুদ আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজ আল মামুন ও শ্রাবন আহম্মেদ।

এসএসএইচ