লুবলিয়ানা মসজিদ

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়া। ২০১৮ সালের জনগণনা অনুযায়ী ৭ হাজার ৮২৭ বর্গমাইলের দেশ স্লোভেনিয়ার মোট জনসংখ্যা ২১ লাখের কাছাকাছি। জনসংখ্যার বড় একটি অংশ মুসলিম।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটির শতকরা ৭৩.৪ ভাগ মানুষ ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। তবে দেশটিতে বর্তমানে ক্যাথলিক চার্চের প্রভাব তেমন একটা চোখে পড়ে না। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের পর দেশটিতে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের ধর্ম ইসলাম। 

দেশটির মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩.৭ ভাগ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন। তাদের বড় অংশ বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, মেসিডোনিয়া ও কসোভো থেকে যুগোস্লাভিয়া শাসনামলে দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এছাড়াও দেশটির স্থানীয় জনসাধারণের মাঝেও অনেকে ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে চলেন। স্লোভেনিয়াতে বসবাসরত মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ একটি প্রধান উৎসব হিসেবে বিবেচিত হয়।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয়ত ঢেউ এখনো স্লোভেনিয়া থেকে পুরোপুরিভাবে কেটে যায়নি। রাজধানী লুবলিয়ানাতে অবস্থিত দেশটির একমাত্র সরকারি মসজিদ লুবলিয়ানা মসজিদে এবার স্বল্প পরিসরে ঈদ জামায়াতের ঘোষণা দিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সাপেক্ষে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিরা এ ঈদ জামায়াতে অংশ নিতে পারবেন। সাধারণ মুসল্লিদেরকে উক্ত ঈদ জামায়াতে অংশ নেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কথা বিবেচনা করে ইসলামিক কমিউনিটি অব স্লোভেনিয়ার পক্ষ থেকে তাদের সবাইকে বাসায় নিজ পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফজরের নামাজ ও সূর্যোদয়ের ৪৫ মিনিট পর দুই রাকাত নফল নামাজের মাধ্যমে মুসল্লিদেরকে বিশেষ মোনাজাতের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক কমিউনিটি অব স্লোভেনিয়া।

স্লোভেনিয়াতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি প্রকৌশলী তৌসিফ রহমান জানিয়েছেন, ‌প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে প্রচেষ্টার পর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্লোভেনিয়ার ইতিহাসে সরকারিভাবে কোনো মসজিদের উদ্বোধন হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা এখনও সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করার সুযোগ পাইনি।

তিনি আরও বলেন, ঈদের নামাজ ছাড়া ঈদ আনন্দ সেভাবে পূর্ণতা লাভ করে না। তাই আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাই খুব দ্রুত পৃথিবী থেকে যাতে করোনার এ মহামারির অবসান ঘটে। পৃথিবী যাতে আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে।

ওএফ