চীনে বিলম্বিত পয়লা বৈশাখ উদযাপন

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আড়ম্বরপূর্ণভাবে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এ বছর রমজানের মধ্যে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে না পারায় বিলম্বে উদযাপন করা হলো পয়লা বৈশাখ। 

শনিবার (২২ মে) দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ণীল সাজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে দূতাবাস। দূতাবাস পরিবারের সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কূটনীতিক ও বেইজিংয়ে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

দূতাবাস প্রাঙ্গণ পাল্কি, কুঁচকির প্যাডাল, বাঁশজাতীয় মাছ ধরার সরঞ্জাম, আল্পনা (সাদা ঐতিহ্যবাহী বাংলা পেইন্ট), রঙিন ফেস্টুন, ব্যানার দ্বারা সজ্জিত করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানটি দলীয়ভাবে পরিবেশন করা হয়। 

শিশু শিল্পীরা লোকজ, আধুনিক ও মরমী গানে বাংলাদেশের সংস্কৃতির মোজাইক চিত্রিত করে গান এবং নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। দূতাবাসে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের মাধ্যমে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন। তিনি বাঙালির মঙ্গল কামনা করে বলেন, নতুন বছরে সবাই শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ করুক। পয়লা বৈশাখ উদযাপন বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। মোগল সম্রাট আকবর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ১৫৫৬ সালে বাংলা ক্যালেন্ডার চালু করেছিলেন। তত্কালীন ‘সুবাহ বাংলা’ অঞ্চলে ভূমি কর আদায়ের সময়কে সহজ করার জন্য বাংলা ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করা হয়েছিল। 

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পয়লা বৈশাখ উদযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ইউনেস্কো এ দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়। 

পয়লা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির আত্মার আনন্দ-উৎসব মন্তব্য করে তিনি বলেন, আনন্দ ও সম্প্রীতির এ উত্সবে যোগদানের জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।  

এইচকে