পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পর্তুর ড্রাগন স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার (২৯ মে) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসি। এ খেলা উপভোগ করতে গ্যালারিতে প্রায় ১২ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকবেন। বিপুল পরিমাণ মানুষের উপস্থিতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে করোনার ভারতীয় ধরন নিয়ে শঙ্কায় খোদ আয়োজক কমিটি।  

জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্তের পরই ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে পর্তুগাল গত ১৭ মে ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। একইসঙ্গে ব্রিটিশ সরকারও পর্তুগাল ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন নীতি শিথিল করে।

করোনা মহামারির কারণে গত এক বছর ধরে দর্শকবিহীন মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে দুই দলের সমর্থকদের সুযোগ থাকছে মাঠে উপস্থিত হয়ে খেলা উপভোগ করার। স্টেডিয়ামটিতে ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা থাকা সত্ত্বে দুই দল থেকে ৬ হাজার করে মোট ১২ হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করতে পারবেন।

অন্যদিকে ফুটবল পাগল ইউরোপিয়ান সমর্থকদের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপী। এ ফাইনাল খেলা ঘিরে অনেক ব্রিটিশ ফুটবল সমর্থক তাদের ক্লাবকে সমর্থন জানাতে পর্তুগাল ভ্রমণ করবেন। যা করোনার ভারতীয় ধরন দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই করোনা সংক্রমণরোধে কঠোর অবস্থানে থাকবে পর্তুগিজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে পর্তুগাল পুলিশের সুপারিন্টেনডেন্ট কারদোজো দা সিলভা বলেন, যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের পর্তুগাল ভ্রমণে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি তাদের আলাদা করে রাখতে। কারণ আপনারা জানেন, একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ মানুষ এক জায়গায় জড়ো হলে করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে যেতে পারে। তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল উপলক্ষে আগামী শনিবার কমপক্ষে ৮০টি চার্টার্ড ফ্লাইট পর্তুগালে আসার খবর পেয়েছি। এজন্য আমাদের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে কয়েকটি পয়েন্টে কাজ করতে হবে। যাতে বর্তমান মহামারির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা যায়।

উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পর্তুগালের রাজধানীসহ আশপাশের অঞ্চলগুলোয় করোনা সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এ অবস্থায় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বিপুল পরিমাণ মানুষের উপস্থিতি করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে দেশটির সরকার।

এসকেডি