পর্তুগালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ ১৮ মে। গত চার বছরে তৃতীয়বারের মতো দেশটিতে আগাম নির্বাচন হতে যাচ্ছে। গত মার্চে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রোর নেতৃত্বাধীন সংখ্যালঘু সরকারের আস্থা ভোটে পরাজিত হ‌ওয়ার পর এ নির্বাচন ডাকা হয়েছে।

স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৭টা পর্যন্ত। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পর্তুগিজ নাগরিকরাও ভোট দিচ্ছেন। এ নির্বাচনে ২১টি রাজনৈতিক দল ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে গত নির্বাচনে আটটি দল সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছে।

ভোটকেন্দ্রগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোট দিতে আসা বেশ কয়েকজন নাগরিক জানান, এই নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী সরকারের গঠন ও পর্তুগালের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

আগাম নির্বাচন হলেও দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উঠে এসেছে নির্বাচনী প্রচারণায়। যেমন– আবাসন সংকট ও উচ্চ ভাড়া, অভিবাসন নীতি ও সামাজিক সংহতি, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও পেনশন সংস্কার, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতা, ইইউ ফান্ড ব্যবহারে দক্ষতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

বিগত ২০২৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার পদত্যাগের পর আগাম নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এডি) ৮০টি আসন পেয়ে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী মন্টেনেগ্রোর পরিবারের ব্যবসায়িক স্বার্থ নিয়ে সংঘাতের অভিযোগে সরকার আস্থা ভোটে পরাজিত হয় এবং রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো দে সজা ১৮ মে ২০২৫-এ নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন।

এসএসএইচ