কমিউনিটির সেবায় অংশ নিতে আগ্রহীদের জন্য ভলান্টিয়ারিং ফেয়ার বা স্বেচ্ছাসেবী মেলার আয়োজন করেছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। সম্প্রতি টাউন হলে অনুষ্ঠিত এ জমজমাট ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে ২৫টির বেশি চ্যারিটি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সমাজ সেবা বিষয়ক বিভিন্ন সেক্টরে স্বেচ্ছাসেবক খুঁজছে।

টাউন হলের গ্রোসার্স উইংয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ফেয়ার চলে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এতে বারার বিপুল সংখ্যক লোক অংশ নেন। অংশ নেন অনেক তরুণ-তরুণীরাও। তারা স্টল ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেন। মেলায় আগত চ্যারিটি সংস্থাগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে তাদের আগ্রহের কথা জানান। ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অনেকেই নিজেদের নাম নিবন্ধন করেন।

ভলান্টিয়ার ফেয়ারটি ছিল তিনটি সেশনে বিভক্ত। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রথম সেশন ছিল নিউরোডাইভারজেন্ট, লার্নিং ডিসঅ্যাবিলিটি বা অটিজম স্পেকট্রাম ডায়াগনোসিসধারী ব্যক্তিদের জন্য। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উন্মুক্ত সেশন। দুপুর ১টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আরেকটি উন্মুক্ত সেশন।

ফেয়ার উদ্বোধন করেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের জবস, এন্টারপ্রাইজ, স্কিলস অ্যান্ড গ্রোথ বিষয়ক লিড মেম্বার কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ। এসময় তিনি বলেন, ভলান্টিয়ার ফেয়ারে চার শতাধিক মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছেন। বারার বাসিন্দাদের এই আগ্রহ প্রমাণ করে, দক্ষতা ও কাজের সক্ষমতা বাড়াতে সুযোগ খুঁজছেন তারা। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল সুযোগটি সবার জন্য উন্মুক্ত করেছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় চ্যারিটি বা স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যখন বাসিন্দারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন তখন তা তাদের দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি অর্থবহ সম্পর্ক তৈরিতে বিশেষ সহযোগিতা করে থাকে। বারার যে কোনো বয়সের যে কোনো বর্ণের মানুষের জন্যে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ খুঁজে নেওয়ার জন্য একটি উপযুক্ত স্থান হলো আমাদের স্বেচ্ছাসেবক মেলা।

ফেয়ারে অংশগ্রহণকারী ভলান্টিয়ার সংগঠনগুলো হলো– অ্যাকশন টিউটরিং, অ্যাডাল্ট লিটারেসি ট্রাস্ট, এইজ ইউকে ইস্ট লন্ডন, বার্নাডোস, ক্যানারি ওয়ার্ফ মাল্টিফেইথ চাপলাইনসি, সেন্টারপয়েন্ট, গ্রিনউইচ এন্ড ডকল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল, হেলথি আইল্যান্ড পার্টনারশীপ, লন্ডন এয়ার এম্বুলেন্স, মোড় লাইফ হোম, পপলার হারকা, পজেটিভ ইস্ট, প্রাক্সিস মাইগ্রান্ট এন্ড রেফুজিজ, প্রভিডেন্স রো, রিড ইজি টাওয়ার হ্যামলেটস, রিয়েল ডিপিও লিমিটেড, সিস্টার সার্কেল, সেন্ট এন চার্চ, সেন্ট জুসেফ হসপিস হেকনি, থাই বক্সিং ফাইটার একাডেমী, দ্যা ফেলিক্স প্রজেক্ট, দ্যা কিডস নেটওয়ার্ক, ট্রাফড ইন জুন ওয়ান, এক্সএলপি, ইয়াং এলিট ম্যানেজমেন্ট, ইয়াং টাওয়ার হ্যামলেটস, ইয়াং বিএনএ, আইডিয়া স্টোর, ওয়ার্কপাথ এবং ভলান্টিয়ার সেন্টার টাওয়ার হ্যামলেটস।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন মেলায় আগত অনেক অংশগ্রহণকারী। এক ছাদের নিচে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে আসায় তাদের পছন্দমতো প্রতিষ্ঠান বাছাই করতে সক্ষম হয়েছেন। ভলান্টিয়ারিং সুবিধা সম্পর্কে জানা এবং বোঝা সম্ভব হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

মেলায় অংশগ্রহণকারী চ্যারিটি সংস্থা মোড় লাইফ হোম-এর প্রতিনিধি ক্লারেন গরমেন জানান, তাদের স্টলে অনেক বাসিন্দারা ভিজিট করেছেন। বেশ কয়েকজন ভলান্টিয়ার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তাদের সংস্থা সম্পর্কে অনেকে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পেরে তারা খুবই সন্তুষ্ট ও আনন্দিত।

এসএসএইচ