সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানমালার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দূতাবাসে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন দূতাবাস সচিব লুৎফর নাহার নাজিম। দূতাবাস লেবার উইং কর্মকর্তা রেজাউল আলমের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এ সভা শুরু হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মীর আনিসুল হাসান।

সভায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় কবির জীবন আদর্শের চিন্তা চেতনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুল, ড. হাবীব উল হক খন্দকার, প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, ড. আহসান খন্দকার, প্রকৌশলী আশিষ বড়ুয়া, ইমরাদ হোসেন ইমু, মাহবুব খন্দকার, মোহাম্মদ আইয়ুব। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকসহ অনেকে।

সভায় জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন দেশ গড়ার দর্শনে জাতীয় কবির জীবনী ও সাহিত্য কর্মের বিশেষ ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন। বক্তারা বলেন, বিদ্রোহী কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম যে বীরের বর্ণনা দিয়েছিলেন তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাস্তব রূপ, নজরুল ইসলাম ছিলেন সাহিত্যের কবি আর বঙ্গবন্ধু হলেন রাজনীতির কবি।

ত্রিকালদর্শী নজরুল ভাষার ব্যঞ্জনায় যেমন কালজয়ী কাব্য রচনা করেছেন তেমনি বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক প্রতিভা দিয়ে যে কাব্য রচনা করেছেন তার নাম বাংলাদেশ। রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার সাহিত্য ও কর্মে সাম্য, সম্প্রীতি, নারীর সমঅধিকার, মানবাধিকার, মানবতাবোধ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের জয়গান গেয়েছেন। জাতির পিতা তার দায়িত্ব পালন করে গেছেন, কবি নজরুলের সাম্যবাদ ও অসাম্প্রদায়িকতার দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে জাতির পিতার দেওয়া বাংলাদেশের সংবিধানে। যার অন্যতম মূলনীতি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা ও জাতীয় কবির দেওয়া বাংলাদেশের এ অসাম্প্রদায়িক অবস্থান আমাদের ধরে রাখতে হবে। প্রবাসীদেরও তিনি এই আদর্শের চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক জাতি এবং নির্যাতিত মানুষের পক্ষে একটি মানবতাবাদী রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সব ধরনের অন্যায়, অসাম্য, শোষণ সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সদা আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে।

আলোচনা শেষে জাতির পিতা, জাতীয় কবি ও তাদের পরিবারের রুহের মাগফেরাত কামনা, প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশ-জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এসএসএইচ