যুক্তরাষ্ট্রের ডাক পরিষেবা বিভাগ গতবছর ডাক কর্মীদের ওপর কুকুরের হামলার ক্ষেত্রে শীর্ষ দশটি শহরের তালিকা করেছে। ওই তালিকায় স্থান পেয়েছে ডেট্রয়েট। তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কুকুরের ছোট-বড় সব আক্রমণই বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় দৈনিক দি ডেট্রয়েট নিউজ এ খবর দিয়েছে।

ডাক সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, তালিকায় সান দিয়েগো এবং ডেট্রয়েট যৌথভাবে দশম অবস্থানে আছে। ২০২০ সালে প্রতিটি শহরে অন্তত ৩৫টি কুকুরের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ডেট্রয়েটে ২০২০ সালে কুকুরের হামলার সংখ্যা ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৯ সালে ডাক বাহকরা শহরে ২৬টি কুকুরের আক্রমণের কথা জানিয়েছিল।

কুকুরের হামলার সংখ্যা বেড়েছে রাজ্যজুড়ে। মিশিগানে গতবছর ২৫৩টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৩৭টি। অর্থাৎ একবছরে ৭ শতাংশ বেড়েছে কুকুরের আক্রমণের সংখ্যা। ডাক বাহকদের ওপর কুকুরের আক্রমণে রাজ্যগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে মিশিগান। ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ওহিও, নিউ ইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া এবং ইলিনয়কে পেছনে ফেলেছে এ রাজ্য।

ডাক সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, মিশিগানের অন্যান্য শহরে সর্বাধিক কুকুরের আক্রমণে ফ্লিন্ট (১৫টি আক্রমণ, র‌্যাঙ্কড নম্বর-২৩) গ্র্যান্ড র‌্যাপিডস (৮টি), রয়েল ওক এবং সাগিনাও (৭টি) এবং ব্যাটেল ক্রিক এবং জ্যাকসন (৬টি) অন্তর্ভুক্ত ছিল। সামগ্রিক হিসাবে দেশব্যাপী ডাক কর্মীদের ওপর কুকুরের আক্রমণ সামান্য বেড়েছে। ২০১২ সালের ৫,৮০৩টি আক্রমণের তুলনায় ২০২০ সালে ৫,৮৫৬টি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

৩০ বছর ধরে বার্মিংহামে চিঠির বাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জেমস হান্টার  অন্তত দেড় ডজনবার কুকুরের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তবে ডাক পরিষেবার দেওয়া প্রশিক্ষণের কারণে তাকে কখনোই কামড় দিতে পারেনি। হান্টার বলেন, ‘কুকুরের আক্রমণে আঘাত পাওয়ার সবচেয়ে খারাপ জিনিসটি হচ্ছে- আপনার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাবে এবং আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। স্থির হতেও অনেক সময় লাগে।

ডাক পরিষেবা কুকুরের কামড় প্রতিরোধে শনিবার থেকে বার্ষিক জাতীয় কুকুর কামড় সচেতনতা সপ্তাহ পালন করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে কীভাবে চিঠি বাহককে সুরক্ষিত রাখা যেতে পারে তা প্রচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সচেতনতা সপ্তাহ পালনে এবার থিম রাখা হয়েছে, ‘সচেতন হোন : যেকোনো কুকুর কামড় দিতে পারে।’ 

ইউএসপিএসের ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা ব্যবস্থাপক জেমি সিভেলো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কুকুর জঞ্জাল রক্ষায় কাজ করতে পারে এমন স্বভাবজাত প্রাণী, তাই এ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা গুরুত্বপূর্ণ।’

এসএসএইচ