প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি ও জুলাই গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে লন্ডনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) পূর্ব লন্ডনের বিজনেস সেন্টারে একটি হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সভায় সভাপতিত্ব করেন 'স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশ'–এর সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম শামিম। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রবাসী ভোটাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও লন্ডনের নিউহ্যাম বারার টানা তিন বারের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ব্যারিস্টার নাজির আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার কাউন্সিলর ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ, দৈনিক আমার দেশের বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান, আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন চৌধুরি এবং লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক রহমত আলী।

সভায় বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ছিল স্বৈরাচারের পতন, ফ্যাসিবাদের বিলোপ সাধন ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের অবসান। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট খুনি হাসিনা পালিয়ে গেলেও ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও আছে বহাল তবিয়তে। অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ প্রণয়ন করতে হবে। জুলাই সনদে প্রবাসীদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি সন্নিবেশ করতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে সব প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রবাসীদের ভোটার তালিকা প্রস্তুতসহ প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণে নির্বাচন কমিশনের ‍কর্মতৎপরতা দৃশ্যমান হতে হবে। 

বক্তারা আরও বলেন, দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিক। তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাদের অবদান ছিল অপরিসীম। একমাস রেমিট্যান্স শাট ডাউন করে পতিত সরকারের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশীরা। ভোট দেয়া তাদের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। সুতরাং প্রবাসীদের নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বা কটূক্তি করা যাবে না। আসন্ন নির্বাচনের আগেই দ্রুততার সাথে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়ন না করলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ।    

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশের সহসভাপতি ড. মুহাম্মদ মুঈনুদ্দীন মৃধা, মো. তরিকুল ইসলাম, পিস ফর বাংলাদেশের সহসভাপতি মাহিন খান, অনলাইন একটিভিস্ট ফোরাম ইউকের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, জাস্টিস ফর ভিক্টিমস ইউকের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, রাইটস অব দ্য পিপলের সভাপতি আসাদুজ্জামান শাফী, স্ট্যান্ড বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আলম, তথ্য সম্পাদক সিরাজুম মুনির, সহসম্পাদক হাবিবুর রহমান, আহমেদ শহীদ, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকের সহকারী সেক্রেটারি রায়হান আহমেদ ও  ইস্ট লন্ডন শাখা সভাপতি আব্দুল হামিদ তাজুল প্রমুখ।

এআইএস