আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে পুলিশ ইনোভেইশন অ্যান্ড লিডারশিপ (পিআইএল) ডিপ্লোমাতে অংশ নিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) মারূফ আব্দুল্লাহ্।

এই প্রোগ্রামের দ্বিতীয় সংস্করণে ৩৮টি দেশের ৫৪ জন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি মনোনীত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের আধুনিক কৌশল, ডিজিটাল রূপান্তর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ফরেনসিক ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এসপি মারূফ বলেন, এটি শুধু একটি প্রশিক্ষণ ছিল না, এটি একটি জীবন পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা। আমি এমন জ্ঞান অর্জন করেছি, যা সরাসরি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে– সাইবার অপরাধ ও আর্থিক জালিয়াতি দমনে প্রয়োগ করা যাবে।

তার ফাইনাল প্রজেক্ট ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত অপরাধের ঝুঁকি নিয়ে জনসচেতনতা, প্রযুক্তি বিষয়ে জনবান্ধব উপস্থাপনা ও দক্ষতা বাড়ানোর সহায়তা।

ডিপ্লোমাটি রচেস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আরআইটি) দুবাইয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়। এতে নেতৃত্ব গঠন, মানসিক সুস্থতা ও ভারসাম্যপূর্ণ কর্মজীবনের গুরুত্ব নিয়ে বিশেষ সেশন অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এসপি মারূফ জানান, তিনি এখন আরও কৌশলী, আত্মবিশ্বাসী ও সেবামূলক পুলিশিংয়ের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য ছিল অত্যন্ত গর্বের। বিশ্বজুড়ে উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় পরিচালিত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করা আমাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে।

এসপি মারূফ আরও বলেন, বিশ্বের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত দুবাই পুলিশের মডেল অধ্যয়ন করা। স্মার্ট সিটি সিস্টেম, ডেটা অ্যানালাইসিস এবং এআই-চালিত নজরদারির ব্যবহার তাদের জনগণের আস্থা অর্জনে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

আমিরাত সরকার ও দুবাই পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পিআইএলের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অনুপ্রেরণা বাংলাদেশে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের পথ তৈরি করবে। দুবাই পুলিশ শুধু নিজেদের ভবিষ্যতকেই নিরাপদ করছে না, বিশ্বজুড়ে অন্য বাহিনীগুলোকেও অনুপ্রাণিত করছে।

এসএসএইচ