শত প্রতিকূলতার মাঝেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির মুহাম্মদ বিন জায়েদ সিটির ১০ নম্বর ব্লকে জেনিফা টাইপিং অ্যান্ড ফটোকপি অফিস নামে আরও একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছে।

শনিবার (১৯ জুন) প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন আমিরাতের শিক্ষা ও জ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অফিসের উপদেষ্টা, লোকাল স্পন্সর ড. ছালেম থাবেত ছালেম আলমাহরি। 

উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি ড. ছালেম থাবেত ছালেম আলমাহরি সবাইকে আমিরাতের আইন-কানুন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার অনুরোধ করেন। পাশাপাশি তিনি জেনিফা টাইপিং এর সফলতা কামনা করেন। এছাড়া তিনি  প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের জন্য শুভকামনা জানান এবং বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। 

তিনি বলেন, সততা হচ্ছে ব্যবসার মূল শক্তি। তাই সৎপথে থেকে কাজ করতে হবে। কাজের কোয়ালিটি, ভালো আচার-ব্যবহার, ভালো সার্ভিস অবশ্যই গ্রাহককে দিতে হবে। তাহলে দ্রুত ব্যবসায় সফলতা লাভ সম্ভব। শুধু বাংলাদেশ নয় সব দেশের অভিবাসীদের জন্য তিনি এসব কথা বলেন।

জেনিফা টাইপিং অ্যান্ড ফটোকপি অফিসের মালিক আবুধাবি প্রবাসী ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ছোট পরিসরে অনুষ্ঠান করে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করতে হয়েছে। এ মুহূর্তে এখানে দশজন কর্মকর্তা, কর্মচারীর প্রয়োজন রয়েছে, মহামারি করোনার কারণে ভিজিট ভিসাসহ আমিরাতে বাংলাদেশের ফ্লাইট বন্ধ থাকায় লোকবলের সংকটে রয়েছি। 

সাময়িক এ সমস্যা সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সবাইকে জেনিফা টাইপিং অফিসে আসার জন্য স্থানীয় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তার টাইপিং অফিসে অনেক অভিজ্ঞ লোক রয়েছে।

জেনিফা টাইপিং আমিরাতে অবস্থানরত সব দেশের ভিসা প্রসেসিংসহ সব ধরনের কাজ করতে সক্ষম বলেও জানান মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, অন্য টাইপিং অফিসের তুলনায় জেনিফা টাইপিং অনেক মানসম্মত টাইপিং অফিস হিসাবে খুব দ্রুত আত্মপ্রকাশ করবে। কেননা, এখানে ভিসা প্রসেসিং, ইমিগ্রেশন, ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টসহ সরকারি প্রায় সব ধরনের সার্ভিস পাওয়া যাবে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের তিন ভাই মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন, আমজাদ হোসেন ও সাইদুল হক। এছাড়াও ব্যবসায়ী মুহাম্মদ মনছুর আলম রিপন, মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম সোহাগ, মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মুহাম্মদ ইজাবসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

আরএইচ