দ্রুতই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় সিঙ্গাপুর
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ধনী নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। দেশটিতে টিকাদানের হার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। করোনাভাইরাস একসময় ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সংক্রামকে রূপ নেবে বলে দাবি করেছেন সিঙ্গাপুরের ভাইরাস মোকাবিলা টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে থাকা মন্ত্রীরা।
রয়টার্স জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ লাখ মানুষকে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সিঙ্গাপুরের সংবাদপত্র দ্য স্ট্রেইটস টাইমসকে টাস্কফোর্সের তিন মন্ত্রী গান কিম ইয়াং, লরেন্স ওং এবং ইয়ে কুং বলেছেন, মহামারি শুরুর পর ১৮ মাস পেরিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে জনগণ ক্লান্ত। সবাই জানতে চাচ্ছে, কখন এবং কীভাবে এ মহামারি শেষ হবে।
দেশটির মন্ত্রীরা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এমন দেশগুলোয় তাদের নাগরিকরা ভ্রমণ করতে পারবেন। টিকা গ্রহণ ও শনাক্তকরণ পরীক্ষা সাপেক্ষে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তবে সামাজিক মেলামেশা, মাস্ক পরা, কন্টাক্ট-ট্রেসিং ও ভ্রমণে কঠোর বিধিনিষেধ বজায় রেখেছে সিঙ্গাপুর।
বিজ্ঞাপন
বাণিজ্য, অর্থ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রীরা আশা করছেন সিঙ্গাপুরের জাতীয় দিবস ৯ আগস্টের আগেই দেশের দুই-তৃতীয়াংশ জনগণকে দুই ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। এজন্য টিকার সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি টিকাদান প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে।
টিকাদানের মাইলফলক অর্জন করার পর দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা পর্যবেক্ষণ না করে কর্তৃপক্ষ টিকাদানের ফলাফল, অর্থাৎ কতজন বেশি অসুস্থ হয়েছেন, এসব বিষয়ে মনোযোগ দেবে। যারা সংক্রমিত হবে তাদের বাড়িতে সুস্থ হয়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি না হয়।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষা কমিয়ে দেওয়া হবে। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ও বিদেশ ভ্রমণ যাতে নিরাপদে হয় তা নিশ্চিত করতে শনাক্তকরণ পরীক্ষা চালু রাখা হবে।
এসকেডি