যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পর্তুগালের লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রদূত ড. এম মাহফুজুল হক, দূতাবাসে কর্মরত সবার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি সূচনা করেন।

বিকেলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কমিউনিটির ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, ছাত্র এবং সাংবাদিকসহ পর্তুগালে বসবাসরত সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনায় প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী, ছাত্র ও সাংবাদিকরা বক্তব্য দেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জুলাই গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বৈরাচার মুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, এবং সব ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর আলোকপাত করা হয়।

রাষ্ট্রদূত ড. এম মাহফুজুল হক তার বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা যে একটি বৈষম্যহীন ও স্বৈরাচারমুক্ত দেশ পেয়েছি দেশকে একটি পূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে এবং শক্তিশালী ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সব বিদ্বেষ-বিভেদ, হিংসা-প্রতিহিংসা ভুলে গিয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও ঐক্যের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

এমএন