আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে ইতালির রোমে মাদানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় ফুড ফেস্টিভাল-২০২১।

মাদানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক পরীক্ষায় পাশের হার শতভাগ। প্রথম শ্রেণিতে ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে ইব্রাহিম হুসাইন, দ্বিতীয় রাদিত খন্দকার এবং তৃতীয় রেহানা রাশেদ। পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে আজফারা হাওলাদার, দ্বিতীয় মাহাজাবিন রায়না, তৃতীয় শেখ মুসফিকুর রোহান।

তৃতীয় শ্রেণিতে প্রথম হুরাইন ফাতিমা নাসির, দ্বিতীয় সামারা বাবর আলী এবং তৃতীয় এস. এম. ফারহান রামীন। চতুর্থ শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে মাহিমা মীর, দ্বিতীয় অনির্বাণ সাহা এবং তৃতীয় ইরতিজার আহমেদ। পঞ্চম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে ফাতেমা জাহান মাইশা, দ্বিতীয় সাবাতুন জান্নাত এবং তৃতীয় ফারিহা রহমান নুহা। ষষ্ঠ শ্রেণীতে প্রথম হয়েছে মিয়াদ হাসান, দ্বিতীয় মেরাজ রহমান এবং তৃতীয় হয় হুসাইন হামজা।

এদিকে সপ্তম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে মেহরীন আহমেদ মম, দ্বিতীয় মুহাম্মদ মাহিন মুস্তাকিম এবং তৃতীয় মুহাম্মদ ইকবাল ইশায়াত আহমেদ। অষ্টম শ্রেণিতে প্রথম হয় জান্নাতুল ফেরদৌস, দ্বিতীয় এহোসান মীর এবং তৃতীয় মুহাম্মদ মাহজাবীন মালিহা। এছাড়াও নবম শ্রেণিতে প্রথম হয় ইরাম, দ্বিতীয় সাজ্জাদ এবং তৃতীয় উজফুরুল জান্নাত।

বার্ষিক ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের সাধারণ সম্পাদক ও প্রশাসক সঞ্জয় কুমার সাহা। এ সময় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীরাসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। স্কুলের চেয়ারম্যান ইকরাম ফরাজী ছাত্র-ছাত্রীদের অভাবনীয় সফলতায় আনন্দ প্রকাশ করে আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।

এক ভিডিও বার্তায় ইকরাম ফরাজী উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবারের মতো স্কুলের সকল পরীক্ষায় এবং কেমব্রিজ পরীক্ষায় ভবিষ্যতে মেধার স্বাক্ষর রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি তিনি আগামী পথচলায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন। পরে স্কুলের সেক্রেটারি ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সঞ্জয় কুমার সাহা উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পরীক্ষার নম্বরপত্র বিতরণ করা হয়।

রোমের অনেক খ্যাতনামা মাদানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা একজন বাংলাদেশি। এখানে বাংলাদেশ, ভারত,পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা পড়তে আসেন। প্রতিষ্ঠানটি বেশ সুনামের সঙ্গে তাদের শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এমএইচএস