লকডাউনেও মালয়েশিয়ায় কমছে না প্রাণহানি ও সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট প্রাণ হারিয়েছেন, পাঁচ হাজার ৪৩৪ জন। একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ছয় হাজার ৬৫৮ জন।

করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিত হয়েছেন সাত লাখ ৭২ হাজার ৬০৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ২১৫ জন। এ অবস্থায় সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটি.

ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ কার্যকর করতে মালয়েশিয়ায় কঠোর লকডাউনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) মানতে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদিন।

লকডাউনে যে সব প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্রের অপব্যবহার করছে কি না, তা যাচাই করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। একইসঙ্গে দেশজুড়ে করোনার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে অস্থায়ী রোড ব্লকও স্থাপন করা হয়েছে। 

চলমান লকডাউনে গত ৬, ২১, ২৯ ও ৩০ জুন অভিবাসন বিভাগের পৃথক পৃথক অভিযানে ৯৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর মধ্যে ২৭০ জন বাংলাদেশিও রয়েছেন। আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ আদেশের (ইএমসিও) অধীন এসওপিগুলো লঙ্ঘন ও অনিবন্ধিত বিদেশি কর্মীদের ব্যবহার করে আইন ভঙ্গ করায় কয়েকটি কারখানার মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে, এমসিও জারি করা এলাকাগুলোয় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী ফাদিল্লাহ ইউসুফ। কোভিড-১৯ সংক্রমণ কমাতে নির্মাণ শিল্প জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের (এমকেএন) নির্দেশাবলী এবং এসওপিগুলো মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, সেলানগরের আটটি জেলা এবং কুয়ালালামপুরের ১৪টি অঞ্চলে ইএমসিও কার্যকর করার ঘোষণা দেন সিনিয়র সুরক্ষা মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি। ইএমসিও চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কঠিন সময় মোকাবিলা করছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অভিবাসী কর্মীরা। মহামারিকালে প্রশ্নবিদ্ধ তাদের জীবনযাত্রার মান। জীবনের চাকা সচল রাখতে তাদেরকে ভাঙতে হচ্ছে মহামারিতে জারি করা নানা নিয়মনীতি। 

আরএইচ