টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন
টোকিওতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস। এক বিজ্ঞপ্তিতে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত মহিমাময় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পর পাকিস্তানের অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন মাতৃভূমিতে সগৌরবে ও বীরদর্পে প্রত্যাবর্তন করেন।
বিজ্ঞাপন
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
তারপর বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে দেশদ্রোহী ঘাতকের নির্মম বুলেটে শাহাদাৎবরণকারী সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পরে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি এবং দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া (মোনাজাত) করা হয়।
এছাড়া ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করলেও বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া সেই বিজয় ছিল অপূর্ণ ও অতৃপ্ত।’
তিনি বলেন, ‘সেদিন ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সসম্মানে, মাথা উঁচু করে, বীরের বেশে স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন, দেশ ফিরে পায় তার প্রিয় সন্তানকে, জাতি ফিরে পায় তাদের মহান নেতা জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে। মুক্ত স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকে ফিরে পেয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ী বাঙালি জাতি অনুভব করেছিল বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ।’
রাষ্ট্রদূত সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রুপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, আধুনিক ও উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
দূতাবাসে দিবসটি উপলক্ষ্যে মুক্ত আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাপানে করোনা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হওয়ায় যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে দূতাবাস।
এনআই/এনএফ