দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা প্রায় ৫ দশমিক ৭০ মিলিয়ন। দ্বিতীয় ঢেউসহ সিঙ্গাপুরে করোনায় মাত্র ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি হয়েছিল। কিন্তু তারপরও দেশটির সরকার সংক্রমণ রোধ করতে পারেনি। এমন বাস্তবতার মধ্যে সিঙ্গাপুর সরকার করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকার পরিকল্পনা করছে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির দেড় বছর হতে চলছে। এই দেড় বছরে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন। হাসপাতালগুলোতে এখনো অনেক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত ভাইরাস নির্মূলে শতভাগ কার্যকরী কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেননি। তবে ইতোমধ্যে যে টিকাগুলো বাজারে এসেছে, সেগুলো করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

আবার দেখা গেছে, দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও অনেকে ফের আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার অনেক কম।

চলতি বছরের জুনে সিঙ্গাপুরের সংসদে সংসদ সদস্যরা এক চিঠি প্রকাশের মাধ্যমে নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতির ঘোষণা করেন। ওই ঘোষণায় তারা সিঙ্গাপুরের ‘জিরো ট্রান্সমিশন’ মডেল থেকে সরে আসেন। সিঙ্গাপুরের জিরো ট্রান্সমিশন মডেল অনুসরণ করেছিল এশিয়া-প্যাসিফিকের বেশ কয়েকটি দেশ।

এমএইচএস