যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ, দোয়া ও প্রার্থনা, এক মিনিট নীরবতা পালন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোমবাতি প্রজ্বলন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা ও স্মরণ সভা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন।

শোক দিবসের কর্মসূচিতে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। স্মরণ সভার আলোচনা পর্বে ভিয়েতনাম ফাদারল্যান্ড ফ্রন্টের তায় হো ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান ট্রানকুয়ানডাও, ভিয়েতনাম চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা থাওগ্রিফিথ, ভিয়েতনাম বিজনেজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান টোং দো এবং ভাইস চেয়ারম্যান লিউহিউ থান উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে জাতির জনকের জীবনাদর্শ এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জনসহ সব সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন।

জাতীয় শোক দিবসে তিনি শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সবার প্রতি আহ্বান জানান।

স্মরণ সভার শেষ পর্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ‘বঙ্গবন্ধু-ফরএভার ইন আওয়ার হার্টস’ প্রদর্শন করা হয়।

আরএইচ