বঙ্গবন্ধু আজও স্বমহিমায় উজ্জ্বল : অ্যাবকা
জাতি ও বিশ্বমানবের মানসপটে বঙ্গবন্ধু আজও স্বমহিমায় উজ্জ্বল। বাঙালির বীরত্বগাথার ইতিহাসকে মুছে ফেলার অপপ্রয়াস চালালেও খুনিদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাইয়ের (অ্যাবকা) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
অ্যাবকার সভাপতি রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা জাতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে বেদনাবিধুর ও কলঙ্কজনক অধ্যায়। সেদিন খুনিচক্র শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নয়, বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
বিজ্ঞাপন
আরও বলা হয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের প্ররোচনায় মানবতার দুশমনরা সেদিন বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতা এবং সব মহতী আকাঙ্ক্ষাকেও হত্যা করতে উদ্যত হয়। দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতিকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ উন্নয়নের রাজপথে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ আজ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বুকে উন্নয়নের রোল মডেল।
জাতীয় শোক দিবসে অ্যাবকার সকল সদস্য এই অঙ্গীকার করছে যে, শোককে শক্তিতে পরিণত করে, জাতির পিতার ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করবে। দেশের আপামর জনসাধারণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার কাজে অবদান রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদ এবং স্বাধীনতার সংগ্রামে বিভিন্ন সময়ে আত্মদানকারী সকল শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। আল্লাহর দরবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সবার রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
ওএফ