প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে গোটা একটা বছর গৃহবন্দি থেকেছে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। তবে পরিস্থিতি এখন বদলেছে। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের এখন উপচেপড়া ভিড়। 

একই পরিস্থিতি ওরল্যান্ডোর ওয়ার্ল্ড থিম পার্কে। সেখানে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। বিভিন্ন হোটেলেও এখন প্রচার মানুষের সমাগম। সৈকতগুলোতে ভিড় প্রচুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এমিউজমেন্ট পার্ক ডিজনি ফিরে এসেছে স্বাভাবিক পর্যায়ে। করোনা শুরুর পর ২০২০ সালে ডিজনি ১০০ দিন বন্ধ ছিল।

ফ্লোরিডা ভ্রমণ খুব একটা ব্যয়বহুলও না। হোটেলে রুম ভাড়া না নিয়ে এখানে রিসোর্টে থাকা যায় ২০০ ডলার দিয়ে, তিন বেডের রিসোর্টে দুই পরিবার থাকা যায়। তবে একটু পয়সা খরচ করতে পারলে থাকা যায় ডিজনির ভেতরের রিসোর্টগুলোতেই। এতে খরচ পড়বে প্রতি রাতে ৪০০ থেকে ২৫০০ ডলার।

ডিজনি ভ্রমণে কত খরচ পড়বে তার জন্য নানা প্যাকেজ রয়েছে। FLYONCALL.COM থেকে বেছে নেওয়া যাবে নিজের পছন্দের প্যাকেজ। 

যারা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট খুঁজবেন তাদের জন্য রয়েছে- আহমেদ রেষ্টুরেন্ট, চ্যাট হাউস,ফিলি স্টিক। এছাড়া রয়েছে কিছু মিডল ইস্টার্ন রেষ্টুরেন্ট।  

অনেকে বলে থাকেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি শহর হলো ওরল্যান্ডো, সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা নামে সুপরিচিত। 

এ বছর অক্টোবরে ডিজনি ৫০ বছর পূর্তি করতে যাচ্ছে। অরল্যান্ডোতে ডিজনি ছাড়াও আছে ইউনিভার্সেল স্টুডিও,সিওয়ার্ল্ড ও কেনেডি স্পেস সেন্টার (নাসা)।

স্পেস সেন্টার : ৪২ একর জায়গা নিয়ে ১৯৬৭ সালে নাসা আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। এটাই বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিচিত নাসা স্পেস সেন্টার। 

এছাড়াও পুরো ফ্লোরিডাতে আছে ৫০টি সৈকত। ফ্লোরিডা থেকে আড়াই ঘণ্টা ড্রাইভ করলে আছে সেন্ট আগাস্টিন শহর,যেটা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সিটি। এ শহরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম স্কুল, প্রথম জেল। স্প্যানিশরা বৃটিশদের তাড়িয়ে সেন্ট আগাস্টিন দখল করেছিল। তাই পুরো ফ্লোরিডায় স্প্যানিশদের আধিপত্য এখনও বিরাজমান। 

ফ্লোরিডা গরমের শহর। শীত বলতে সেখানে কিছু নেই। বলা হয়ে থাকে খরচের হিসেবে একটু উনিশ-বিশ হবেই- এটা ধরে নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে ফ্লোরিডায়। তারপর স্বপ্ন নিজেই ধরা দেবে। 

এনএফ