বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ফেরাতে কমনওয়েলথ নেতাদের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একইসঙ্গে কমনওয়েলথের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বৃদ্ধি, টিকা সহায়তা ও জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় কমনওয়েলথের যথাযথ ভূমিকার আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একুশতম বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ মন্ত্রী লর্ড আহমেদ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল সংখ্যক মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ব্রিটিশ নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাস।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন এবং ভাসানচরে তাদের আংশিক স্থানান্তরের বিষয়ে তুলে ধরেন। রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণের সহায়তায় কমনওয়েলথ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

কোভিড ভ্যাকসিনের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উল্লেখ করে বলেন, করোনার টিকা বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য হিসেবে সরবরাহ করতে কোনো বৈষম্য যেন না করা হয়।

কমনওয়েলথ নেতাদের ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) চেয়ারম্যান হিসেবে গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি কমনওয়েলথ এবং সিভিএফের মধ্যে আরও সহযোগিতার আহ্বান জানান। মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলোকে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে একসঙ্গে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং কমনওয়েলথ বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর সাঈদা মুনা তাসনিম বৈঠকে অংশ নেন।

এইচকে