বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও পূজামণ্ডপে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে কানাডায় ‘বাংলাদেশি হিন্দু কমিউনিটি ইন ক্যালগেরি’র আয়োজনে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ এবং শহরজুড়ে গাড়ি সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

প্রতিবাদ সমাবেশে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি অন্য দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীরাও অংশ নেন।

আলবার্টার করোনা বিধিনিষেধের মধ্যেই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে নির্যাতন প্রতিরোধে অঙ্গীকার করা হয়। সভার দাবির প্রতি কতিপয় প্রাদেশিক এমএলএ কানাডার সংসদ সদস্য এবং রাজনীতিবিদ সমর্থন জানান।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং আদিবাসীরা কয়েক দশক ধরে লক্ষ্যবস্তু সহিংসতা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের শিকার হয়ে আসছে। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়, আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর সব বর্বর ও নৃশংস হামলার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।

সভায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। এজন্য কানাডার প্রভিন্সিয়াল ও ফেডারেল সরকারসহ বিশ্বের সব মানুষের কাছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে যথাসাধ্য এগিয়ে আসার আহ্বানও জানানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের কাছে তারা সবার যথাযথ নিরাপত্তা ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য দেশের ও বিভিন্ন ভাষাভাষীর বিভিন্ন সংগঠনের মানুষ সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ক্যালগেরির কাউন্সিলর রাজ ঢালিওয়াল, বিশ্ব হিন্দু ফাউন্ডেশনের পরিচালক গোপাল সাইনি, হিন্দু সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নবদীপ মাহেন্দ্রু, ইসকন ক্যালগেরির প্রেসিডেন্ট আত্মারাম দাস।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক কর্মী, প্রগতিশীল বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি মোহাম্মদ রশিদ রিপন। এছাড়াও মোহাম্মদ কাদের, মাহমুদ হাসান দীপু, জুবায়ের সিদ্দিকী, বায়েজিদ গালিব এবং জেবুন্নেসা চপলাসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

প্রতিবাদ সমাবেশের পর গাড়িতে কালো কাপড় বেঁধে এবং প্রতিবাদী ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করা হয় এবং শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি হলে গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে ৭০টির বেশি গাড়ি অংশ নেয়।

এসএসএইচ