মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে প্রবাসীদের করোনা বিমা ফি আর লাগবে না বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) এক নোটিশে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর আগে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে করোনা বিমার ফি বাবদ ২৬শ রিংগিত দিতে হতো।

আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে সাত দিনের হোটেল ভাড়া বাবদ ১ হাজার ৫০ রিংগিত, করোনার পিসিআর টেস্টের জন্য পাঁচশ রিংগিত এবং বিমান ভাড়া মিটিয়েই দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন প্রবাসীরা। 

এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ১ নভেম্বর থেকে ইমিগ্রেশনের পূর্বানুমতি বা মাই ট্রাভেল পাস (এমটিপি) ছাড়াই মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন অভিবাসীরা।

এতে বলা হয়েছিল, এক্ষেত্রে যাদের ভিসার মেয়াদ আছে তারা কিছু শর্ত মেনে অনুমতি ছাড়াই দেশটিতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন। আর যাদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে তারা মাই ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে আবেদন করে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল, বিদেশিরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে চাইলে দুই ডোজ টিকা সম্পন্নের প্রমাণপত্র, করোনা নেগেটিভ রিপোর্টসহ আসতে হবে। এরপর বিমানবন্দরে স্থাপিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সাতদিন অবস্থান করতে হবে। এই সাতদিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের খরচ অভিবাসী কর্মী অথবা তার নিয়োগকর্তাকে বহন করতে হবে। 

যেসব ক্যাটাগরির ভিসা বা পারমিটধারীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- কূটনীতিক ভিসাধারী, পিআর পাস, পেরোল পাস, রেসিডেন্ট পাস, স্থায়ী বাসিন্দা ও তাদের পোষ্য, দীর্ঘমেয়াদী পাস (স্বামী/স্ত্রী/সন্তান), সিনিয়র সিটিজেন পাস, শিক্ষার্থী ভিসা, মাই সেকেন্ড হোম, বিদেশি গৃহকর্মী, দীর্ঘ মেয়াদী অস্থায়ী জব পাস (পিএলকেএস) ও টুরিস্ট।

২০২০ সালের ১৮ মার্চ লকডাউন ঘোষণার পর অনেক মালয়েশিয়া প্রবাসী ছুটিতে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে নিজ দেশে গিয়ে আটকা পড়েন। তখন মালয়েশিয়া সরকার বিদেশিদের ফেরার পথ বন্ধ রাখায় তারা বিপাকে পড়েন। সে সময় মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের অনুমতির জন্য মাই ট্রাভেল পাস (এমটিপি) আবেদন করতে হতো। তবে এই প্রক্রিয়ায় প্রবাসীদের অনুমতি পাওয়া ছিল দুঃসাধ্য ব্যাপার। এখন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দেশটির সরকার পর্যায়ক্রমে বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু করেছে।

এইচকে