যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন আগামী ১৪ নভেম্বর (রোববার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভোটগ্রহণের জন্য পাঁচটি বোরোতে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। 

উডসাইটে গুলশান টেরেস, জ্যামাইকায় ইকরা পার্টি সেন্টার, ওজনপার্কের দেশি সিনিয়র সেন্টার, ব্রুকলিনের পিএস-১৭৯, ব্রন্সের গোল্ডেন প্লেস সেন্টারে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। 

নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেল নয়ন-আলী পরিষদ এবং রব-রহুল পরিষদের প্রস্তুতিও চূড়ান্ত বলে জানা গেছে। প্যানেলের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা সভা-সমাবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, বক্তৃতা করছেন। এসব অনুষ্ঠানে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা বলছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমেও প্রচারণা চালাচ্ছেন। দুই প্যানেলের প্রত্যাশা, তারা পুরো প্যানেল জয়ী হবে। 

সূত্র জানায়, নির্বাচনের আগে কিংবা পরে বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ক অভিযোগ এনে মামলা হওয়ার আশংকা রয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনি বলেছেন, আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ভোটার ও প্রার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

নয়ন আলী পরিষদের সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা প্রস্তুত। আমরা এখন কোনো বিষয়কে সামনে এনে কোনো ইস্যু তৈরি করতে চাইছি না। তবে ভোটের মেশিন নিয়ে আমরা আপত্তি করেছি। বলেছি, দুজন আইটি বিশেষজ্ঞ দিয়ে এটি পরীক্ষা করা হোক। কিন্তু নির্বাচন কমিশন রাজি হয়নি। ৬ নভেম্বর আমাদেরকে ডেমো দেখাবে। এরপর বুঝতে পারব। আমরা চাইছি সোসাইটির স্বার্থে যাতে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। জয়ের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব। 

অন্যদিকে, রব-রহুল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রহুল আমিন সিদ্দীকি বলেন, তিন বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অনেকেই ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, আবার অনেকেই সিটি ছেড়ে চলে গেছেন। এ কারণে ভোটারদের খুঁজে বের করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও বলব প্রস্তুতি ভালো। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যারা সোসাইটির ওপর ক্ষুব্ধ, মামলা করার চিন্তা-ভাবনা করছেন, আমার বিনীতি অনুরোধ মামলা করা থেকে বিরত থাকবেন। নির্বাচনের পরে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করব। মামলা করলে সেটা কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। এখন নির্বাচন হওয়াটাই জরুরি।

এইচকে