মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের পোস্ট অফিস ও অগ্রণী রেমিটেন্স হাউস পরিদর্শন করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে পরিদর্শনে গেলে রাজ্যের পোস মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্টরা তাকে স্বাগত জানান।

পরিদর্শনের সময় পোস মালয়েশিয়ার স্টেট জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন হাইকমিশনার। সাক্ষাতের সময় পোস মালয়েশিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ ও বিতরণের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চান।

সংশ্লিষ্টরা হাইকমিশনারকে জানান, পেনাংয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদের সেবা গ্রহণ করছেন। কোভিড-১৯ এর এসওপি মেনে চলার কারণে প্রথম দিকে পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম কিছুটা ধীরে হলেও বর্তমানে এসওপি শিথিল হওয়ায় পেনাংয়ের বাংলাদেশি প্রবাসীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট পাচ্ছেন।

হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার পোস মালয়েশিয়ার কার্যক্রম সরেজমিন প্রত্যক্ষ করেন। তিনি বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট সেবাদানের জন্য পোস মালয়েশিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি পাসপোর্ট সেবা প্রবাসীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য হাইকমিশন তথা বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। 

পরিদর্শনকালে হাইকমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. রাজিবুল আহসান, পেনাংয়ে বাংলাদেশি অনারারি কনসাল দাতো শেখ ইসমাইল ও পোস মালয়েশিয়ার স্টেট জেনারেল ম্যানেজারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পোস মালয়েশিয়ার মাধ্যমে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মাঝে পাসপোর্ট বিতরণ করে আসছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণের আহ্বান

রাজ্যের পোস মালয়েশিয়ার মাধ্যমে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবা পরিদর্শন শেষে পেনাংয়ের অগ্রণী রেমিটেন্স হাউস পরিদর্শন করেন হাইকমিশনার। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রেমিটেন্স হাউসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ডাইরেক্টর খালেদ মোর্শেদ রিজভী। পরে হাইকমিশনার রেমিটেন্স হাউসে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও স্থানীয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

মতবিনিময়কালে প্রবাসী শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সমস্যা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং যেকোনো সমস্যায় হাইকমিশনের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য উপস্থিত প্রবাসীদের আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ বৈধপথে রেমিটেন্স হাউসের মাধ্যমে দেশে প্রেরণের জন্যও অনুরোধ করেন। এছাড়া বৈধ পথে দেশে অর্থ প্রেরণ করলে একাধারে অর্জিত আয় বৈধতা পায় এবং সঙ্গে সঙ্গে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা পাওয়ার মাধ্যমে প্রবাসী ও প্রবাসী পরিবার লাভবান হবেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত প্রবাসীদের ওয়েজ আর্নার্স বন্ডে বিনিয়োগের আহ্বান জানান হাইকমিশনার। তিনি এ সময় ওয়েজ আর্নার্স বন্ডে বিনিয়োগকারী একজনের হাতে ২১ লাখ টাকার বন্ড সার্টিফিকেট তুলে দেন। হাইকমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. রাজিবুল আহসান ও অগ্রণী রেমিটেন্স হাউসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ওএফ