মালয়েশিয়ার সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশনের (সকসো) কর্মকর্তারা বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিয়ে পারকেসু ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষে হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ারের সঙ্গে শ্রমিক কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশনের পক্ষে সিইও দাতুশ্রী ড. মোহাম্মেদ আজমান বিন দাতু আজিজ মোহাম্মেদের সঙ্গে ডেপুটি সিইও জন রিবা আনাক মারিন, পরিচালক হারিরি বিন হারুণসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সকসো কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির সিইও অবহিত করেন। তিনি জানান, ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৬ হাজার ১৬৩ বাংলাদেশি কর্মী সকসোর মেম্বারশিপ লাভ করেছেন। এ পর্যন্ত অস্থায়ী অক্ষমতাবরণকারী ৩১৭৮ জনকে ৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা, স্থায়ী পঙ্গুত্ববরণকারী ৬৮ জনকে ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা, ২১৯টি মৃতদেহ পাঠানো বাবদ ২ কোটি ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত  কর্মক্ষেত্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত ৮৫০ জনকে ৯৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশি কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি সংক্রান্ত উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর, দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যবরণকারী কর্মীর পরিবারকে সকসোর সুবিধা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বেগবান করা, সকসোর সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি বিনিময় সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশি কর্মীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও সকসো একযোগে কাজ করতে অঙ্গীকার করে। যে সব বাংলাদেশি কর্মী এখনো সকসোর সদস্যপদ লাভ করেননি তাদের দ্রুত সদস্যপদ গ্রহণ করতে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

এসএম