গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম মাহফিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামের বায়েজিদে হযরত শায়খ ছৈয়্যদ আব্দুল কাদের জিলানী (রা.)-এর ওফাত বার্ষিকী এবং হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.)-এর স্মরণে ৬৮তম ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এই মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদ আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, প্রিয় রাসূল (দ.)-এর মাধ্যমে নবুয়্যতের ধারার পরিসমাপ্তি ঘটে। পরে মানুষকে তৌহিদের দিকে আহ্বানের জন্য নবীজির উত্তরসূরি হিসেবে বেলায়তের অধিকারী ব্যক্তিত্বরা এ মহান দায়িত্ব পালন করছেন। যুগে যুগে নবীর নূরের মাধ্যমে ক্বলবকে আলোকিত করে নফ্স দমনের শিক্ষা দিতে এ মনীষীরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মৌখিক জ্ঞানের পাশাপাশি ক্বলবের জ্ঞানের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে আলোকিত মানুষ তৈরিতে যুগান্তকারী মনীষীদের মধ্যে মাহবুবে ছোবহানি কুত্বে রাব্বানি হযরত গাউছুল আজম আবদুল কাদের জিলানী (রা.)-র নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ। তিনি দ্বীনকে নতুনভাবে পুনরুজ্জীবিত করে ‘মুহিউদ্দিন’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
শেষ যুগে এসে আমরাও পেয়েছি এমন এক কালজয়ী মনীষী- খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসুল (দ.) হযরত গাউছুল আজম (রা.)-কে। যিনি প্রিয় নবীজির হারানো সুন্নতকে পুনরুজ্জীবিত করে ‘মুহিউসুন্নাহ্’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর মাহফিলের সভাপতিত্বে করেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মো. জসিম, মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর, হাফেজ মাওলানা আরিফ, মাওলানা মো. এরশাদ হোসাইন, মাওলানা ইউছুফ মুনিরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছরওয়ার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
মিলাদ ও কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি, অসহায় নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
এমএইচএস