মালয়েশিয়ার আজিল ক্যাম্পে বাংলাদেশিদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। দেশটির তেরেঙ্গানু প্রদেশের আজিল ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে থাকাদের খবর নিতে কুয়ালালামপুর থেকে ছুটে আসেন তিনি।

এ সময় সঙ্গে ছিলেন শ্রম কাউন্সিলর-২ মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. রাজিবুল আহসান। এছাড়াও দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো আনোয়ারুল ইসলাম এবং কল্যাণ সহকারী মো. মোকসেদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

২৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকমিশনার ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ক্যাম্প কমান্ডারের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো এবং অবস্থানকারীদের মালয়েশিয়াতে পুনরায় কাজে লাগানোর জন্য অনুরোধ করেন। বাংলাদেশিদের দেখভাল করার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।

ক্যাম্প কমান্ডার বন্দিদের বিষয়ে ক্যাম্পের উদ্যোগ ও কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো এবং সম্ভাব্য আইনি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার।

ক্যাম্প কমান্ডার বলেন, মালয়েশিয়ায় কাজের, পড়ালেখা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আগত বাংলাদেশিরা ইমিগ্রেশন সম্পর্কিত নানান অনিয়মের কারণে গ্রেফতার হলে বিচারে জেল জরিমানা শেষে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে ফেরত পাঠানোর আগ পর্যন্ত ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে অবস্থান করে এবং মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ফ্লাইটে তুলে দিয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

এক্ষেত্রে যাদের ভ্যালিড পাসপোর্ট আছে তাদের জন্য শুধুমাত্র ফ্লাইট টিকিট দিতে হয়। যাদের ভ্যালিড পাসপোর্ট নেই তাদের জন্য হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নাগরিকত্ব নিশ্চিত না হয়ে কারো অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা যাবে না। এক্ষেত্রে নাগরিকত্ব নিশ্চিত হয়ে হাইকমিশন ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করছে। যাদের পরিবার ফ্লাইট টিকিট দিতে অসমর্থ বা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না সেক্ষেত্রে হাইকমিশন ফ্লাইট টিকিট ব্যবস্থা করে।

অন্যদিকে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন যাদের রিক্যালিব্রেসি প্রোগ্রামে নাম নিবন্ধন করেছে, তাদের কোম্পানি কাগজপত্র ক্যাম্পে দাখিল করলে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

আইএসএইচ