দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। এরইমধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে চলতি মাসে। এরপরই শুরু হতে পারে কর্মী প্রেরণ।

এদিকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর আগেই সিন্ডিকেটের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। যদিও এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী কর্মী নিয়োগে সব খরচ বহন করবে মালয়েশিয়া।

তবে জনশক্তি রফতানিকারকরা এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, বাস্তবে এমন হওয়ার সুযোগ নেই। বরং শ্রমবাজার ঘিরে মাথাচাড়া দিতে পারে অশুভ চক্র। তারা আশ্বস্ত করে বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আর সিন্ডিকেটমুক্ত উন্মুক্ত শ্রমবাজারের প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখতে চান অনেকে। 

সমঝোতা চুক্তিতে বলা হয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সি ঠিক করবে মালয়েশিয়া। যদিও এটি নিয়ে মতবিরোধ আছে এজেন্সিগুলোর মধ্যে। সীমিত সংখ্যক এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করা হলে অভিবাসন ব্যয় বাড়তে পারে। তা নিয়েও বিতর্ক আছে জনশক্তি রফতানিকারকদের মধ্যে।

সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী কর্মী নিয়োগে সব ব্যয় বহন করবে মালয়েশিয়া। বাস্তবে তা হবে না বলেই মনে করে দুপক্ষই। জনশক্তি রফতনিকারকরা বলছেন, কর্মী নিয়োগের ব্যয় বহন সংক্রান্ত ব্যাপারে সরকার যা বলেছে, তা মূলত আনুষ্ঠানিক বক্তব্য। সরকারি ভাষা আর ব্যবহারিক ভাষা এক নয় বলেও উল্লেখ করেন তারা। এর মধ্যে অনেক হিডেন চার্জ থাকবে, যা কেউই বহন করবে না। এসব শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদেরই বহন করতে হবে বলেও মনে করছেন তারা।

অন্যদিকে, চলতি মাসেই কর্মী নিয়োগ পদ্ধতি চূড়ান্ত হলে সব বিষয় পরিষ্কার হবে বলেও আশা জনশক্তি রফতানিকারকদের।

জেডএস