মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের দুর্দশায় সরকারকে দুষলেন সিএপি নেতা
ভাগ্য বদলের আশায় মালয়েশিয়া গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয় বহু শ্রমিককে
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের অনেক ক্ষেত্রে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এর জন্য দেশটির সরকারকে দায়ী করা হয়।
মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, মালয়েশিয়ার উন্নয়ন ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী হলেন বিদেশি অভিবাসী কর্মীরা। বিলাসবহুল স্থাপনা থেকে শুরু করে মেট্রোরেল ও পাতাল রেলে তাদের দক্ষ কর্মের উদাহরণ থাকলেও বিদেশি কর্মীরা আজ অবহেলিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের দুর্দশার দায়ভার মালয়েশিয়ার সরকারকেই নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
চলমান মহামারিতে বিদেশি কর্মীদের করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করা এবং টেস্ট ছাড়া তাদের রুমে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ ছিল অমানবিক, বে-আইনি এবং জেনোফোবিক- এমন শক্ত অভিযোগও করছেন অনেকে।
মালয়েশিয়ার কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব পেনাংয়ের (সিএপি) সভাপতি মহিদিন আবদুল কাদের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, বিদেশি কর্মীদের সরকার বাধ্য করছে স্যাঁতস্যাঁতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে। তার কারণ হলো শ্রমিক নিয়োগকর্তাদের জবাবদিহি বা নজরদারির আওতায় না আনা। এর ফলে নিয়োগকর্তারা তাদের শ্রমিকদের নিরাপদে থাকা খাওয়া বা বাসস্থান নিশ্চিত করছে না। এটা করলে তাদের আর্থিক লাভ কমে যাবে। তাছাড়া বিদেশি কর্মীদের প্রতি সরকারের অবহেলা ও অযত্নের মনোভাবই দায়ী। এ ছাড়া সম্প্রতি জর্জ টাউনে বেশি হারে অভিবাসীদের করোনা পজিটিভ হওয়ার জন্য সরকার সব সময় তাদেরকেই দোষারোপ করে।
বিজ্ঞাপন
সিএপির সভাপতি মহিদিন আবদুল কাদের বলছেন, শ্রমিকদের করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক এবং এটা ছাড়া রুমে প্রবেশ নিষেধ করে প্রবীণ মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের সাম্প্রতিক ঘোষণাটি অবাক হওয়ার মতো। কারণ বিদেশি কর্মীরা দীর্ঘকাল ধরে দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। উপযুক্ত সময়েও সরকার বিদেশি কর্মীদের জন্য উপযুক্ত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে, তাদের জোর করে সমতল ইউনিটে বসবাস করতে বাধ্য করে, তখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এনএফ