পর্তুগালে নতুন সরকার গঠন বিলম্বিত, ইউরোপের অভিবাসীদের ভোট পুনরায়
পর্তুগালের জাতীয় নির্বাচনে বিগত সংসদের ক্ষমতাসীন দল সোশালিস্ট পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজয়ী হলেও তাদের নির্ধারিত ২৩ ফেব্রুয়ারি সরকার গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ ইতোমধ্যে সাংবিধানিক আদালত রায় দিয়েছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত পর্তুগিজ অভিবাসীদের আবারও ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও পুনরায় অভিবাসীদের ভোটগ্রহণ ব্যতীত সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, পর্তুগালের বাইরে বসবাসরত দেশটির নাগরিকদের ভোটদান নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা আপিলের ভিত্তিতে গতকাল সাংবিধানিক আদালত ইউরোপে বসবাসরত পর্তুগিজ অভিবাসীদের সকল ভোট বাতিল ঘোষণা করে ও পুনরায় ভোট প্রদানের সিদ্ধান্ত দেন।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা গতকাল রাজধানী লিসবনে সোশালিস্ট পার্টির পলিটিকাল কমিশন অফিসে উপস্থিত হওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন যে, রাষ্ট্র কর্তৃক তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই। যারা সরল বিশ্বাসে প্রচলিত নিয়মে ভোট দিয়েছিল।
তিনি আরও যোগ করেন, অভিবাসীদের ভোটের বিষয় আমাদের একটি স্বচ্ছ আইন করা জরুরি। যাতে বিষয়টি আবারো পুনরাবৃত্তি না হয়।
বিজ্ঞাপন
যদি পুনরায় নতুন কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয় তাহলে সম্ভাব্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিবাসীদের পুনরায় ভোট প্রদান করা হবে। আগামী ১৪ মার্চ নতুন সংসদ গঠিত হবে ও ১৫ মার্চ সরকার গঠন করা হবে বলে সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বাজেট অনুমোদনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সৃষ্ট রাজনৈতিক জটিলতা নিরসনে মাঝপথেই সরকারকে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারকে আগাম জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান করতে হয়। গত ৩০ জানুয়ারি আগাম জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা ইতিহাস সৃষ্টি করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার লাভ করে সরকার গঠনের অপেক্ষায় আছে।
ওএফ