জুমার দিন সপ্তাহের পবিত্রতম ও শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের ইবাদত বিশেষ কিছু ইবাদত ও সময় রয়েছে। বিশেষ সময়গুলোতে দোয়া করলে ও আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ তাআলা দোয়া কবুল করেন। বান্দাকে বিশেষ অনুগ্রহে ভূষিত করেন।

হাদিসে জুমার দিন বিভিন্ন সময় দোয়া কবুলের কথা রয়েছে। তবে জুমার দিন আসরের পর দোয়ার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাঠকদের জন্য এখানে বিশেষভাবে কিছু হাদিস উল্লেখ করা হলো।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসুল (সা.) তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন। (বুখারি, হাদিস : ৬৪০০)

আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বর্ণনা করেন, শুক্রবারে আছরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়। বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থ যাদুল মাআ’দ-এ বর্ণিত আছে, জুমার দিন আছরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়। (যাদুল মাআ’দ : ২/৩৯৪)

ইমাম আহমদ (রহ.)-ও আসরের পর বিশেষভাবে দোয়া কবুল হওয়ার কথা বলেছেন। বিখ্যাত হাদিসের গ্রন্থ তিরমিজি শরিফের ২য় খণ্ডের ৩৬০ নং পৃষ্ঠায় তাঁর সবিশেষ কথাটি উল্লেখ আছে।

আসরের শেষ সময় দোয়া কবুল হয়

জেনে রাখা জরুরি যে, আসরের শেষ সময় বলতে সূর্য ডোবার আগ-মুহূর্তে। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)

আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, জুমাবারে এমন একটি সময় আছে, যেটাতে বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে থাকেন। (মুসান্নাফ, হাদিস : ৫৫৮৮)

আল্লাহ তাআলা আমাদের বিশেষভাবে দোয়া করার এবং প্রতিটি সময় কাজে লাগিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির অর্জনের তাওফিক দান করুন।