প্রতীকী ছবি

সুস্থ ও নিরাপদ থাকা সব সময় কাম্য। এরপরও মানুষ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিভিন্ন রকমের দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে যায়। কাটাছেঁড়া, অপারেশন ও ক্ষত নিরাময়সহ নানা ধরনের চিকিৎসা হয়ে থাকে। তখন শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যান্ডেজ লাগানো হয়ে থাকে। তখন কীভাবে অজু করতে হবে? কিংবা যদি গোসল ফরজ হয়— গোসলের নিয়ম কী হবে? 

এই প্রশ্নের উত্তর হলো- ভাঙা-মচকা ইত্যাদি কারণে যদি শরীরের কোনো অঙ্গে পট্টি বা ব্যান্ডেজ থাকে, তবে অজু বা গোসল করার সময় সে স্থান ধোয়ার পরিবর্তে তার ওপর মাসাহ (ভেজা হাত বোলানো) করবে। আর অবশিষ্ট সুস্থ অংশটুকু সম্ভব হলে অন্যান্য অঙ্গের ন্যায় ধুয়ে নিতে হবে। আর যদি তা ধুতে গেলে ব্যান্ডেজ ভিজে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে পায়ের এ অংশও মাসেহ করতে পারবেন।

তবে মনে রাখতে হবে, এ জন্য তায়াম্মুম করা বৈধ হবে না। কেননা ইসলামী শরিয়তে মাসাহকে গোসল বা ধোয়ার বিকল্প নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : অজুতে কোনো অঙ্গ শুকনো থেকে গেলে যা করবেন

যত দিন শরীরে ব্যান্ডেজ থাকবে, তত দিন পর্যন্ত মাসাহ করা যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। মাসাহ করার পদ্ধতি হলো ব্যান্ডেজের জায়গাটুকু পলিথিন জাতীয় কিছু পেঁচিয়ে গোসল করবে। এরপর পলিথিন খুলে যে অংশটুকু ধোয়া হয়নি তার ওপর মাসাহ করবে। কিন্তু যদি এভাবেও অজু বা গোসল করা না যায় তবে তার পরিবর্তে তায়াম্মুম করবে। (বাদায়িউস সানায়ে : ১/৯০)

তথ্যসূত্র : সুনানে বায়হাকি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২২৮; আল-মুহিতুল বুরহানি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩৫৭; বাদায়েউস সানায়ে, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৯০; শরহুল মুনইয়া, পৃষ্ঠা: ১১৬; আল-বাহরুর রায়েক, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ১৮৭