সাহরি মানে শেষ রাতের খাবার। আর সাহরি (সেহরি নামে যেটা আমাদের দেশে সমধিক পরিচিত) শব্দের অর্থ ভোরের খাবার। রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে পানাহার করা হয়, সেটাকে ইসলামের পরিভাষায় সাহরি বলে।

রোজা রাখার নিয়তে সাহরি খাওয়া সুন্নত। সাহরি অত্যন্ত বরকতময় খাবার। সাহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও, কারণ সাহরিতে বরকত আছে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩)

কিন্তু সাহরি শেষ রাতের কোন সময়ে খাওয়া ভালো? এটা অনেকে জানেন না। তাদের জেনে রাখার সুবিধার্থে এই লেখায় সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো।

এক. সাহরি খাওয়া সুন্নত। পেটে ক্ষুধা না থাকলে দু-একটি খেজুর খেয়ে নেওয়া উত্তম অথবা অন্য কোনো জিনিস খেয়ে নেবে। (হেদায়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ১৮৬)

দুই. বিলম্বে সাহরি খাওয়া উত্তম। আগে খাওয়া হয়ে গেলে শেষ সময়ে কিছু চা, পানি, পান ইত্যাদি খেলেও সাহরির ফজিলত অর্জিত হবে। (হেদায়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ১৮৬)

তিন. সময় আছে, নাকি নেই—এমন সন্দেহ নিয়ে সাহরি খাওয়া মাকরুহ। (আলমগিরি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা : ২০১)

চার. সঠিক ক্যালেন্ডারে সুবহে সাদিকের যে সময় দেওয়া থাকে, তার দু-চার মিনিট আগে খানা বন্ধ করে দেবে। এক-দুই মিনিট আগে-পিছে হলে রোজা হয়ে যাবে, তবে ১০ মিনিট পর খাওয়ার দ্বারা রোজা হবে না। (আপকে মাসায়েল, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা ২০১)

কিন্তু মনে রাখতে হবে, শুধু ক্যালেন্ডারের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়, কেননা অনেক সময় তাতে ভুলও হয়ে থাকে, তাই এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া দরকার।

পাঁচ. নিদ্রার কারণে সাহরি খেতে না পারলেও রোজা রাখতে হবে। সাহরি খেতে না পারায় রোজা না রাখা অত্যন্ত পাপ। (বেহেস্তি জেওর, পৃষ্ঠা ৩৫৩)