প্রতীকী ছবি

সাহরির সময় আমরা অনেক সময় দেখি যে, আজান শুরু হয়ে যায়। তখন আমরা কি সাহরি আজানের শেষ পর্যন্ত খেতে পারব?

এই প্রশ্নের উত্তর হলো- আমরা যখন পবিত্র রমজান বা অন্য কোনো সময়ে সাহরি গ্রহণ করব, তখন আজান হচ্ছে কি হচ্ছে না— এটা সাহরির সময় নির্ধারক মানদণ্ড নয়। আমাদের ক্যালেন্ডার বা সময়সূচি দেখতে হবে।

আপনি যে এলাকায় থাকেন, সেখানকার ইসলামিক সেন্টারগুলোতে সাহরি-ইফতারের যে ক্যালেন্ডার দেওয়া হয়, সেখানে দেখুন— সাহরির শেষ সময় কখন? সাহরির শেষ সময় পর্যন্ত আপনি খেতে পারবেন। তারা যদি দশ মিনিট আগেও আজান দিয়ে দেয় তবুও আপনি খেতে পারবেন।

আজান উদ্দেশ্য নয়; বরং সাহরির শেষ সময়টি কখন— সেটি আপনি খেয়াল করবেন। ধরুন- সাহরির সময় শেষ— আর এর দশ মিনিট পরেও যদি তারা আজান দেয়, তবে তাহলে তো আর আপনার রোজা হবে না। এজন্য আপনাকে টাইম-টেবিল লক্ষ্য করতে হবে, আজান নয়। (সূত্র: রদ্দুল মুহতার : ২/৩৭১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৪)

আরও পড়ুন : সাহরি দেরিতে খাবেন কেন?

আবার অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কেউ মাইকে সাইরেন বাজানো, সেহরি বন্ধ করার ঘোষণা চলা অবস্থায়ও চা পান করেন, অথবা পান চিবিয়ে থাকেন; এরপর তড়িঘড়ি করে কুলি করে নেয়। এখন প্রশ্ন হতে পারে, উল্লেখিত কাজ যদি কোনো রোজাদার করে থাকেন, তাহলে তার রোজা কি বৈধ হবে? শরীয়তের দৃষ্টিতে এদের রোজার বিধান কী? নাকি এই রোজার কাজা করতে হবে?

আরও পড়ুন : সাহরি না খেয়ে রোজা রাখা যাবে কি?

এর উত্তর হলো- যদি প্রবল ধারণা হয় যে, সুবহে সাদিক হওয়ার পর মসজিদে আজান দেওয়া হচ্ছে, তাহলে যারা আজান পর্যন্ত খেয়েছেন, তাদের রোজা হবে না। (কারণ, আজান সাধারণত সুবহে সাদিক হওয়ার পরই দেওয়া হয়। যেহেতু সুবহে সাদিকের আগে আজানের ওয়াক্ত আসে না। তবে কোথাও ভুলে আগে আজান হয়ে গেলে, ভিন্ন কথা। কিন্তু স্বাভাবিকত আজান পর্যন্ত যারা খায়, সাধারণত তাদের রোজা হয় না)।

আরও পড়ুন : সাহরির যেসব মাসাআলা জেনে রাখা জরুরি

সুবহে সাদিক হওয়া এবং সাহরির সময় বাকি থাকার ব্যাপারে সংশয়যুক্ত সময়ে পানাহার করা মাকরুহ (প্রসঙ্গত, আমাদের দেশের ক্যালেন্ডারগুলোতে আজান ও সাহরির মাঝে কয়েক মিনিট বিরতি দেওয়া হয়। সংশয়যুক্ত সময় বলতে ওই সময়টাকে ধরা যায়)। তবে এ সময়ে খাওয়ার মাধ্যমে রোজা সহিহ হয়ে যাবে। (আহসানুল ফতোয়া, খণ্ড : ০৪, পৃষ্ঠা : ৪৩২; আল-ফিকহুল হানাফি ফি সাওবিহিল জাদিদ, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ৪৩৩)