প্রতীকী ছবি

চলন্ত বিমানে নামাজ আদায়ের বিধান ও নিয়ম কী? এমনটা অনেকে জিজ্ঞেস করে থাকেন। মূলত চলন্ত বিমান, বাস, ট্রেনে, লঞ্চ, জাহাজ ইত্যাদিতে ফরজ ও নফল নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতার সুযোগ রয়েছে। ফরজ নামাজ সম্ভব হলে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে রুকু-সিজদাসহ আদায় করবেন।

আর দাঁড়ানো যদি কষ্টকর হয়— তাহলে বসে স্বাভাবিক রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করবেন। এভাবে নামাজ আদায় করতে পারলে পরবর্তী সময়ে তা পুনরায় পড়তে হবে না। 

আমের ইবন রাবিআ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‌‌‘আমি রাসুল (সা.)-কে তার বাহনের উপর যেদিকেই বাহন ফিরছে সেদিকেই সালাত আদায় করতে দেখেছি।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৯৩; মুসলিম, হাদিস : ৭০১)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তিনি (রুকু ও সিজদার সময়) তার মাথা দিয়ে ইঙ্গিত করেছেন, কিন্তু তিনি ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে তা করতেন না।’ (বুখারি, হাদিস : ১০০০; মুসলিম, হাদিস : ৭০০)

আর যদি কেবলামুখী হয়ে রুকু-সিজদার সঙ্গে নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে যেভাবে সম্ভব বসে বা ইশারায় নামাজ পড়ে নিবেন। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে সতর্কতামূলক ওই ফরজ নামাজ পরবর্তী সময়ে আবার পড়ে নিবেন।

বিমানে কাবা শরিফকেই সামনে রেখে নামাজ পড়তে হবে এরকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বরং কাবার বরাবর ওপরের দিকে পুরো বায়ুম-লই কেবলা। তাই যত উঁচু স্থানেই মানুষ থাকুক নামাজ আদায় করা যাবে।

তথ্যসূত্র : ইলাউস সুনান : ৭/২১২; মাআরিফুস সুনান : ৩/৩৯৪; আদ্দুররুল মুখতার : ২/১০১