অজু হচ্ছে পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। সবসময় অজু ও পবিত্র অবস্থায় থাকলে মন সতেজ থাকে। এর বিশেষ ফজিলতও রয়েছে। আবার অজু ছাড়া নামাজ হয় না, কোরআন শরিফ স্পর্শ করা যায় না। কোনো অঙ্গ শুকনো থাকলে অজু হবে না। কেউ যদি দাঁড়িয়ে অজু করে তাহলে কি তার অজু হবে নাকি এমন করাটা মাকরূহের অন্তর্ভুক্ত?

দাঁড়িয়ে অজু করলে অজু হবে কি?

অজু করার বিষয়ে পবিত্র  কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করো ও দুই পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করো’। (সূরা মায়িদাহ : ৬)

ধিরস্থির ও কেবলামুখী হয়ে উঁচু জায়গায় বসে অজু করা উত্তম। তাই এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তবে কেউ যদি দাঁড়িয়ে অজু করে তাহলেও অজু হয়ে যাবে, এটা মাকরূহ নয়। - নুরুল ইযা, ৩৩

অজুর সময় যেসব কাজ করা মাকরুহ

অজুতে কিছু কাজ করা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। তবে সেগুলো করলে অজু ভাঙবে না কিংবা অজুর কোনো ক্ষতি হবে না। অজুতে মাকরুহ বিষয়গুলো এখানে উল্লেখ করা হলো—

♦ অজুতে পানির অপব্যয় করা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১৯, আবু দাউদ, হাদিস : ৮৮)

♦ পানি ব্যবহারে অত্যধিক কার্পণ্য করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১১৬, মুসলিম, হাদিস : ৩৫৪)

♦ মুখের ওপর জোরে পানি মারা। (কানজুল উম্মাল : ৯/৪৭৩)

♦ দুনিয়াবি কথা বলা। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ১/৯৮)

♦ অন্যের সাহায্য নেওয়া। (মুসনাদে আবি ইয়ালা : ১/২০০) তবে অপারগ অবস্থায় অন্যের সাহায্য নেওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। (আল মুজামুল কাবির, হাদিস : ৩৮৫৭)

♦ তিনবার মাথা মাসেহ করা এবং প্রতিবার পানিতে হাত ভেজানো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১১৬, কানজুল উম্মাল, হাদিস : ২৭০২৪)

এনটি/