প্রতীকী ছবি

নামাজের জন্য অজু অপরিহার্য। অজু ছাড়া নামাজ হয় না। বিষয়টি প্রায় সবাই জানেন। কিন্তু কখনো কখনো কেউ কেউ অজু ছাড়া ভুলক্রমে নামাজ পড়ে নেন। নামাজ শেষে তাদের মনে পড়ে, আমি অজু ছাড়া নামাজ পড়েছি।

এমনটা যারা করে থাকেন, তারা জানতে চান— এক্ষেত্রে করণীয় কী? অজু করে নতুনভাবে আবার নামাজ পড়তে হবে কিনা?

আসলে এক্ষেত্রে করণীয় ও ওয়াজিব (আবশ্যক) হলো, অজু করে পুনরায় নামাজ আদায় করা। কারণ, অজু ছাড়া নামাজ আদায় হয় না। ফিকাহবিদরা এ অভিমতের ওপর ঐক্যমত প্রকাশ করেছেন।

পবিত্রতা নামাজ শুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত

আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘তোমাদের কারো যদি অজু ভেঙে যায়, তাহলে পুনরায় অজু করার আগ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তার নামাজ কবুল করেন না।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৯৫৪; মুসলিম, হাদিস : ২২৫)

অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘পবিত্রতা ছাড়া কোনো নামাজ কবুল করা হয় না।’ (মুসলিম, হাদিস : ২২৪)

প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ ও ফিকাহবিদ ইমাম শরফ আন-নববি (রহ.) বলেন, ‘অজুহীন ব্যক্তির জন্য নামাজ পড়া হারাম; এ ব্যাপারে আলেম-উলামারা একমত। তারা এ ব্যাপারেও ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, অজুহনী ব্যক্তির নামাজ শুদ্ধ হবে না; অজু না থাকা সম্পর্কে সে অবগত থাকুক কিংবা অজ্ঞ হোক। কিংবা অজু না থাকার কথা ভুলে গিয়ে থাকলেও।

তবে সে যদি একদম অজ্ঞ হয় কিংবা পুরোপুরি ভুলে গিয়ে থাকে, তাহলে তার কোনো গুনাহ হবে না। আর যদি তার অজু না-থাকার বিষয়টি ও অজু ছাড়া নামাজ হারাম হওয়ার বিষয়টি জেনেও সে নামাজ পড়ে এবং পড়ে থাকলে পুনরায় আদায় না করে, তাহলে সে জঘন্য গুনাহে লিপ্ত।’ (আল-মাজমু, খণ্ড: ০২, পৃষ্ঠা: ৭৯)

ঢাকা পোস্টের ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন : dhakapostislam@gmail.com