নামাজে কেরাত পড়া ফরজ। ছোট তিন আয়াত অথবা ৩০ হরফ সম্বলিত বড় এক আয়াত পড়লে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু (নামাজে) আবৃত্তি কর। (সূরা মুযযাম্মিল-২০)

ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা এবং এর সাথে আরও একটি সূরা মিলানো ওয়াজিব। শেষ দুই রাকাতে শুধু সূরায়ে ফাতেহা পড়া সুন্নত। কেউ যদি নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার পর অনেক্ষণ চুপ থাকে এবং দেরিতে অন্য সূরা পড়ে তাহলে তার নামাজের বিধান কি? এজন্য তাকে সাহু সিজদা দিতে হবে নাকি আরো নতুন করে নামাজ পড়তে হবে?

কেউ যদি সূরা ফাতেহার পর বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পড়া যায়–এই পরিমাণ চুপ থাকে তাহলে নামাজের একটি ওয়াজিব আদায়ে দেরি করার কারণে তার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। এবং নামাজের শেষ বৈঠকে সেজদায়ে সাহু আদায় করে নিতে হবে।

 নামাজে সুরা ফাতিহার পর অনেক্ষণ নিরব থাকলে করণীয়

ইমাম হোক বা একাকী নামাজ আদায়কারী ফরজের প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা মিলানো ওয়াজিব। ফরজের শেষ দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা পড়া সুন্নত। আর সুন্নতের প্রত্যেক রাকাতেই সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলাতে হবে। 

কেউ যদি সূরা ফাতেহার পর বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পড়া যায়–এই পরিমাণ চুপ থাকে তাহলে নামাজের একটি ওয়াজিব আদায়ে দেরি করার কারণে তার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। এবং নামাজের শেষ বৈঠকে সেজদায়ে সাহু আদায় করে নিতে হবে। তাহলে তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে, নতুন করে আর নামাজ শুরু করতে হবে না। -(তাহতাবী ১/৩১১ ফাতাওয়া দারুল উলুম ৩/৩৮৬)

সাহু সিজদা যেভাবে দেবেন

সাহু সিজদার সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে— সাহু সিজদা যার ওপর ওয়াজিব হয়েছে, সে শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ে ডান দিকে এক সালাম ফেরাবে। এরপর তাকবির বলে নামাজের মতো দুইটি সিজদা করে বসে যাবে এবং তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে। সালামের আগে সিজদা করলে নামাজ হয়ে যাবে। তবে তা মাকরুহে তানজিহি। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৮১৮৮; বুখারি, হাদিস : ১১৫০-১১৫৩; তিরমিজি, হাদিস : ৩৬১)

এনটি/