কেউ তিনদিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে। আর সফরে গেলে কসর নামাজ পড়তে হয়। অর্থাৎ চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাত পড়তে হয়। মুসাফির ব্যক্তি সফর অবস্থায় ইচ্ছাকৃত চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করলে গুনাহ হবে (তবে মুকিম ইমামের পেছনে হলে অসুবিধা নেই)। মুসাফিরকে যদি কোথাও জুমার নামাজের ইমামতি করতে দেওয়া হয়, তাহলে তার ইমামতিতে জুমার নামাজ পড়া যাবে কি?

এ ক্ষেত্রে ইসলামী সমাধান হলো, মুসাফির নামাজের ইমামতি করতে পারেন এবং তার পেছনে মুকিম ব্যক্তি নামাজ পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে মুসাফির দুই রাকাত শেষে সালাম ফিরিয়ে নেবেন আর মুকিম (গৃহবাসী অমুসাফির) মুক্তাদীরা মুসাফির ইমামের সালাম ফেরানো পর সালাম না ফিরিয়ে উঠে বাকি নামাজ পূরণ করে নেবে। (দুররুল মুহতার, কিতাবুস সালাত, ২/ ১৩০)

ঠিক একইভাবে মুসাফির ব্যক্তির ওপর জুমার নামাজ ফরজ না হলেও জোহরের কসর ফরজ। তবে সে চাইলে জোহরের পরিবর্তে জুমা পড়তে পারে এবং জুমার ইমামতিও করতে পারে। ইমামতি করলে তার ও মুক্তাদিদের জুমা সহীহ হবে। আলমাবসূত, সারাখসী ১/২৪৯; বাদায়েউস সানায়ে ১/৫৮৮; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৪৭; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৭৫; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৫৫

হযরত ওমর (রা.) মক্কায় এলে নামাজের ইমামতি করতেন এবং দু’রাকাত আদায় করে বলতেন, ‘হে মক্কাবাসী! তোমরা তোমাদের নামাজ পূর্ণ কর, আমরা মুসাফির’ (মুওয়াত্ত্বা মালেক, ৫০৪, ১৫০৬, মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ)।

আরেক হাদিসে ইবনে শিহাব রহ. সাফওয়ান ইবন আবদুল্লাহ ইবন সাফওয়ান রহ. থেকে বর্ণনা করেন,আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. আবদুল্লাহ ইবন সাফওয়ানকে দেখতে আসলেন তিনি অসুস্থ ছিলেন, তখন আবদুল্লাহ ইবন উমর রা. আমাদের দুই রাকাত নামাজ পড়ালেন। এরপর তিনি প্রস্থান করিলেন আর আমরা নামাজ পূর্ণ করলাম। -( মুওয়াত্ত্বা মালেক, হাদিস ৩৩৯)