নামাজ মুমিনের শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম ইবাদত। নামাজে তাই সার্বক্ষণিক সুস্থির ও পূর্ণ মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু এরপরও অনেক সময় নানা চিন্তাভাবনা চলে আসে। আগের-পরের কত কথা যে মনে পড়ে তার হিসাব নেই। অমনোযোগীতা ছাড়াও মাঝে মাঝে অনেকে নামাজে আঙ্গুল ফোটান। অনেকে জানতে চান এর কারণে নামাজের কোনো সমস্যা হবে কিনা?  

এ বিষয়ে ইসলামী চিন্তাবিদরা বলে থাকেন, আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম নামাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,‘যারা নিজেদের নামাজের হেফাজত করে, এরাই আল্লাহর জান্নাতে মর্যাদাসহকারে প্রবেশ করবে।’ -(সুরা মাআরিজ, আয়াত, ৩৪ ও ৩৫)

কোরআনে আরো বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই সফল হয়েছে মুমিনরা, যারা নিজের নামাজ আদায় করে বিনীতভাবে।’- (সুরা মুমিন, আয়াত, ১-২)

আরো বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয় মুনাফিকরা আল্লাহর সঙ্গে ধোঁকাবাজি করে, তিনি তাদের ধোঁকায় ফেলে শাস্তি দেন এবং তারা যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন অলসভাবে দাঁড়ায়, লোক দেখানোর জন্য, তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।’  -(সুরা নিসা, আয়াত, ১৪২)

কোরআনের এই আয়াতগুলো প্রমাণ করে নামাজ কতটা মাহাত্ম্যপূর্ণ ইবাদত। আর নামাজে মনোযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাই ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নামাজে আঙ্গুল ফুটানো বা এমন অসৌজন্যমূলক কর্মকাণ্ড মাকরুহ তাহরিমি। এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। 

তাবেয়ি হজরত ইবরাহিম নাখায়ি এবং মুজাহিদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তারা উভয়ে নামাজে আঙ্গুল ফুটানো মাকরুহ মনে করতেন। 

(মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ, বর্ণনা : ৭৩৬২, খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/৫৭; মাজমাউল বাহরাইন, পৃ. ১৩৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১০৬; মাজমাউল আনহুর : ১/১৮৫; হালবাতুল মুজাল্লি : ২/২৪৯; রদ্দুল মুহতার : ১/৬৪২)

এনটি