প্রতীকী ছবি

কর্মব্যস্ত জীবনে চলাফেরা করতে গিয়ে কত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় মানুষকে। কোনওটি স্বাভাবিক, কোনওটি অস্বাভাবিক আবার কিছু কিছু কিছু পরিস্থিতি বিপদে ফেলে দেয়। মানুষ ঝায়-ঝামেলা ও বিপদমুক্ত থাকতে পছন্দ করে। আপন রবের কাছে সবসময় বিপদ মুক্তি কামনা করে। শুভাকাঙ্খীদের কাছেও ঝামেলামুক্ত থাকার দোয়া চায়। 

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে সবসময় বিপদমুক্ত থাকার বিভিন্ন আমল শিখিয়েছেন হাদিসে। সকাল-সন্ধ্যা তিনটি সুরা তিনবার করে পাঠ করলে যাবতীয় অনিষ্টতা ও বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে তিনি বর্ণনা করেছেন। সুরা তিনটি হলো, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস।

এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা এক বৃষ্টিমুখর অন্ধকার রাতে আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে খুঁজতে বের হলাম। যেন তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ পড়েন।’ তারপর নবীজির সঙ্গে যখন দেখা হলো, তিনি বললেন, ‘তুমি ‘‘কুল’’ পাঠ করো।’ আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবারও বললেন, ‘তুমি ‘‘কুল’’ পাঠ করো।’ আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবারও বললেন, ‘তুমি ‘‘কুল’’ পাঠ করো।’

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কী পাঠ করব? তখন তিনি বললেন- ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’,  ‘কুল আউজু বি রাব্বিল ফালাক’ ও ‘কুল আউজু বিরাব্বিন্নাস’ সন্ধ্যায় ও সকালে তিনবার। এ সুরাগুলো সব কিছু থেকে তোমার হেফাজতের জন্য যথেষ্ট হবে। -(মুসনাদে আহমাদ : ৫/৩১২; আবু দাউদ : ৫০৮২; তিরমিজি : ৩৫৭৫) 

আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন সাহাবিকে নির্দেশ দিলেন, তুমি সকাল-বিকেল তিনবার তিন কুল পড়বে, এ সুরাগুলো সব বিপদ-আপদ থেকে সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট হবে। -(আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮২, তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭৫, নাসায়ি,  হাদিস : ৫৪২৮)

ওলামায়ে কেরাম বলেন, এই হাদিসের দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যায়, সকাল-সন্ধ্যা এ সুরা পড়া মুস্তাহাব, পড়লেই উপকার হবে।

এই সুরাগুলো পাঠের পর হাতে ফুঁ দিয়ে শরীরে দম করেন অনেকে। বিপদাপদ থেকে মুক্ত থাকতে এভাবে দম করার কোনও নিয়ম নেই এবং এমন করা আবশ্যকও নয় তবে কেউ দম করলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু দম করা সুন্নত বলা যাবে না। -(ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ২/১৪৩)

এনটি