প্রতীকী ছবি

ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান নামাজ। ঈমানের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে নামাজ। নামাজ অস্বীকারকারী ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যায়। তাকে মুসলিম বলার সুযোগ থাকে না।  

নামাজের মাধ্যমে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত ফজিলত ও পরকালীন পুরস্কার পেতে নামাজে মনোযোগী হওয়া আবশ্যক। অমনোযোগী ব্যক্তিকে নামাজ নিজেই তিরস্কার করে। নামাজে মনোযোগহীনতার রোগটি নিন্দনীয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) এটিকে ‘শয়তানের ছিনতাই’ বলেছেন। 

মনোযোগ ও একাগ্রতা নামাজের প্রাণ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করো, যেন তাকে তুমি দেখতে পাচ্ছো। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখতে পাচ্ছেন।’ -(বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)

নামাজের সময় যেন কাতারে ফাঁকা না থাকে এ দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, কাতারের মধ্যে ফাঁকা রাখলে শয়তান প্রবেশ করে এবং নামাজী ব্যক্তি রহমত থেকে বঞ্চিত হয়।

হজরত ইবনু ওমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কাতার সোজা করবে, বাহু সমূহ সমপর্যায়ে রাখবে, ফাঁকা সমূহ বন্ধ করবে এবং তোমাদের ভাইদের সাথে নরম হয়ে থাকবে। মধ্যখানে শয়তানের জন্য ফাঁক রাখবে না। যে ব্যক্তি কাতারকে মিলিয়ে দাঁড়ায়, আল্লাহ তাকে স্বীয় রহমতের সাথে মিলান। আর যে ব্যক্তি কাতারে ফাঁকা রাখে আল্লাহ তাকে স্বীয় রহমত থেকে পৃথক রাখেন। -(আবু দাউদ, মিশকাত হা/১১০২)

অন্য বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আমি শয়তানকে কাতার সমূহের ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করতে দেখছি, যেন সে কালো ছাগলের বাচ্চা। কাজেই তোমরা প্রাচীরের মত কাতার মিলিয়ে দাড়াও (নাসাঈ হা/৮১৫; আবূদাঊদ হা/৬৭৩)। 

আরেক হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা বন্ধ করবে আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। -(ইবনু মাজাহ হা/৯৯৫)। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা বন্ধ করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। -(সিলসিলা ছাহীহাহ হা/১৮৯২) 

এনটি