জুমার নামাজে হেঁটে যাওয়া ও উপস্থিত হওয়া সওয়াবের কাজ। এতে বিপুল সওয়াবের কথা হাদিসে রয়েছে। কারণ আল্লাহর রাসুল (সা.)-ও পায়ে হেঁটে জুমায় ও মসজিদে যেতেন। এটি তার সুন্নতও বটে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মসজিদ বেশি দূরে হলে কষ্ট করে হেঁটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, শরিয়ত কারও ওপর সাধ্যের বেশি চাপিয়ে দেয়নি।

এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল (ফরজ) অথবা (সাধারণ) গোসল করল, তাড়াতাড়ি মসজিদে গেল অথবা যাওয়ার চেষ্টা করল, যাওয়ার পথে কোনো কিছুতে আরোহণ না করে হেঁটে গেল, ইমামের কাছে ঘেঁষে বসল, কোনো প্রকার অহেতুক কথাবার্তা না বলে মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শুনল ও নামাজ আদায় করল, তাহলে তার প্রতিটি কদমের (পদক্ষেপ) বিনিময়ে এক বছর রোজা ও নামাজের সওয়াব দেওয়া হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৪৫৬)

সাহাবায়ে কেরাম নিজেদের কাজ-কর্ম সেরে জুমার আদব-শিষ্টাচার লক্ষ্য করে মসজিদে উপস্থিত হতেন। সাহাবায়ে কেরাম মসজিদে ও জুমায় হেটে আসার বহু বর্ণনা রয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর প্রিয় সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.)-ও মসজিদে হেঁটে আসতেন। তবে হাদিসের কিতাবগুলোতে আছে, ফিরে যাওয়ার সময় তিনি কখনো হেঁটে যেতেন, কখনো বাহনে আরোহণ করে যেতেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা)।

হেঁটে জুমায় আসার গুরুত্ব বোঝাতে ও অন্যরা যেন সেটা সওয়াব লাভ করে— সে জন্য খলিফা উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) তার গভর্নরদের কাছে লিখে জানান যে, কেউ যেন আরোহিত হয়ে জুমায় না আসেন। (ইবনে সায়াদের বরাতে ‘ফাতহুল বারি লিল হাফিজ ইবনে রাজাব আল-হাম্বলি)

আমাদেরও হেঁটে মসজিদে যাওয়ার যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সুন্নত লাভের পাশাপাশি বিপুল সওয়াবও লাভ হবে এতে।