প্রতীকী ছবি

পার্থিব এই জীবন শেষে অনন্ত এক জীবন আসবে সবার জীবনে। এই জীবনে মানুষ যে আয়ু পেয়ে থাকে তা একেবারে সামান্য মনে হবে অনন্ত সেই জীবনের কাছে। কোরআনের ভাষায়, ‘যেদিন তারা তা দেখবে, সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা (দুনিয়ায়) এক সন্ধ্যা বা এক সকালের বেশী অবস্থান করেনি।’ -(সুরা নাযিয়াত, আয়াত, ৪৬)

পৃথিবীর পরে যে জীবন আসবে তাতে সফল হবেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মানুষেরা। অনিবার্যভাবে জান্নাত কে পাবেন একথা বলা কঠিন। হতে পারে অসংখ্য আমল করেও ছোট্ট একটি খারাপ আমলের কারণে জীবনের সব নেক কাজ ধূলোয় মিলিয়ে যাবে। নেক আমলের পাল্লা একেবারে শূন্য হয়ে যাবে। তাই আমলের পাশাপাশি প্রত্যেক মুমিনের একান্ত কর্তব্য আপন রবের রহমত প্রত্যাশা করা

নির্দিষ্ট করে কেউ জান্নাত লাভের কথা বলতে না পারলেও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সান্নিধ্যপ্রাপ্ত ১০জন সাহাবি আছেন যারা পৃথিবীতেই জান্নাত প্রাপ্তির সুসংবাদ পেয়েছেন। তাদের বলা হয় আশারায়ে মুবাশশারা অথার্ৎ ১০ সুসংবাদপ্রাপ্ত।

বিখ্যাত সাহাবি হজরত সাঈদ ইবনে যায়িদ রা. বর্ণনা করেন,  আমি সাক্ষী দিচ্ছি যে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে: দশ জন লোক জান্নাতে যাবে: আবু বকর জান্নাতি, উমর জান্নাতি, উসমান জান্নাতি, আলী জান্নাতি, তালহা জান্নাতি: জুবাইর ইবনুল আওয়াম জান্নাতি, আবদুর রহমান ইবনে আউফ জান্নাতি, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস জান্নাতি, এবং আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ জান্নাতি। আমি কি দশম ব্যক্তির নাম বলব। সাহাবিরা বললেন, কে তিনি? তিনি নীরব থাকলেন। সাহাবিরা আবার বললেন : কে তিনি ? তিনি বললেন: সে হলো সাঈদ ইবনে যায়িদ। (সুনান আবু দাউদ)

এই ১০ সাহাবির তালিকা-

– হযরত আবূ বাকর সিদ্দীক (রা)
হযরত উমার বিন খাত্তাব (রা)
– হযরত উসমান বিন আফফান (রা)
হযরত আলী বিন আবি তালিব (রা)
– হযরত আবূ উবাইদাহ বিন জাররাহ (রা)

– হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা)
– হযরত আবদুর রহমান বিন আওফ (রা)
– হযরত যুবাইর বিন আওম (রা)
– হযরত তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রা)
– হযরত সাঈদ বিন যায়দ (রা)।

এনটি