প্রতীকী ছবি

নামাজে কেরাত পড়া ফরজ। কোরআন শরিফ থেকে ন্যূনতম ছোট এক আয়াত পরিমাণ হলেও পড়তে হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়। (সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত ২০)

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে জোহর ও আসরের নামাজে কিরাত আস্তে পড়তে হয়। আর মাগরিব, এশা এবং ফজরের নামাজে কিরাত জোরে বা উচ্চস্বরে পড়া হয়। এটা শরিয়ত কর্তৃক আল্লাহর আদেশ। আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর আমল দ্বারা প্রমাণিত।

নামাজে কেরাত সহী ও বিশুদ্ধ উচ্চারণে হওয়া আবশ্যক। অনথ্যায় এর কারণে নামাজ ভেঙে যেতে পারে। আলেমদের মতে, নামাজে কেরাতে ভুল করলে যদি এর কারণে অর্থ এতটাই পরিবর্তন হয়ে যায় যে, এই আয়াতের উপর কোনভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। অর্থাৎ কোরআন শরীফের অর্থ, ইসলামী আকীদার বিরোধী কোন অর্থ দাঁড়িয়ে যায়। তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

আলেমরা আরও বলেন, কোনও আয়াতে শুধুমাত্র একটি হরফ ছেড়ে দেওয়ার দ্বারা কিংবা কোন শব্দ ছেড়ে দেওয়ার দ্বারা নামাজ ভাঙ্গে না। তবে  ওই শব্দ ছাড়ার দ্বারা তার অর্থ পরিবর্তন হয়, তখন নামাজ ভেঙে যাবে।

তাই আলেমদের মতে, যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে কোনও না কোনভাবে যেন আয়াতের অর্থ সঠিক ধরা যায়। যদি কোনভাবে আয়াতের অর্থ সঠিক হয়, তাহলে নামাজ ভাঙবেনা। আর অর্থ পরিবর্তন হয়ে গেলে ভেঙে যাবে।

এনটি