প্রতীকী ছবি

আগামী দিনে যে শিশুটি মানবতার কল্যাণে কাজ করবে, তাকে জীবনের শুরুতেই নামাজে অভ্যস্ত করে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলা থেকে অভ্যস্ত করে না তুললে পরবর্তীতে এই অভ্যেস গড়ে তুলতে অনেক কষ্ট হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে অভ্যাস গড়ে না উঠলে নামাজ কাজাও হয়ে যেতে। তাই শিশুকে নামাজের প্রতি যত্নবান করতে শৈশব থেকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।  

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘তোমরা সন্তানদের নামাজের প্রতি যত্নবান হও এবং তাদের ভালো কাজে অভ্যস্ত করো। কেননা কল্যাণ লাভ অভ্যাসের ব্যাপার।’-(সুনানে বায়হাকি, হাদিস : ৫০৯৪)

সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও। তাদের বয়স ১০ বছর হওয়ার পর (প্রয়োজনে) নামাজের জন্য প্রহার করো এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও। ’ -(সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৯৫)

শিশুদের নামাজে অভ্যস্ত করতে অনেক অভিভাবকই সন্তানকে সাথে নিয়ে মসজিদে যান। এক্ষেত্রে অনেকে মনে করেন, মসজিদে নাবালেগ শিশুদের বড়দের কাতারের মধ্যে দাঁড় করালে পেছনের মুসল্লিদের নামাজ হয় না বা নামাজ ত্রুটিযুক্ত হয়। এটা সঠিক ধারণা নয়। যদিও জামাতের কাতারের সাধারণ নিয়ম ও সুন্নত হচ্ছে- প্রাপ্তবয়স্করা সামনে দাঁড়াবে ও অপ্রাপ্তবয়স্করা পেছনে থাকবে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলে নামাজ অশুদ্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এজন্য শিশু একা হলে বা পেছনে দুষ্টুমির আশঙ্কা হলে বড়দের কাতারে সমানভাবে দাঁড় করানোই উত্তম।

বুঝতে শিখেছে, এমন নাবালেগ শিশুদের ব্যাপারে বিধান হলো, যদি শিশু একজন হয়, তা হলে তাকে বড়দের কাতারেই সমানভাবে দাঁড় করাবে। এ ক্ষেত্রে বড়দের নামাজের কোনো অসুবিধা হবে না।

একাধিক শিশু হলে সাবালকদের পেছনে পৃথক কাতারে দাঁড় করানো সুন্নাত। তবে হারিয়ে যাওয়া বা দুষ্টুমি করার আশঙ্কা হলে বড়দের কাতারেও দাঁড়াতে পারবে। বড়দের কাতারে দাঁড়ানোর কারণে কঠোর ভাষায় শিশুদের পেছনে পাঠিয়ে দেওয়াও সুন্নাহ পরিপন্থি। -(আলবাহরুর রায়েক : ১/৬১৮, আদ্দুররুল মুখতার : ১/৫৭১)

এনটি