প্রতীকী ছবি

প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করা সাহাবিদের একজন হজরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ রা.। জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ সাহাবিদেরও একজন। তিনি ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধাবী, অত্যন্ত বিনয়ী ও লাজুক প্রকৃতির। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উম্মতে মুহাম্মাদীর বিশ্বস্ত ব্যক্তি বলে অভিহিত করেছেন।

আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর কাছে আবু উবাইদা (রা.)-এর বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা ছিল। রাসুল (সা.)-এর পক্ষ থেকে তিনি জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করেছেন। এবং এ ‘উম্মতের আমানতদার’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। সাহাবায়ে কেরামের মধ্যেও ছিল তাঁর বিশেষ মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা। শীর্ষস্থানীয় মর্যাদাবান সাহাবিদের কাতারে ছিল তাঁর স্থান।(আল-ইসতিআব ৪/১৭১০—১৭১১)

একদা ইয়েমেনের লোকজন রাসুল (সা.)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের সঙ্গে এমন একজন লোক দিন, যিনি আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা দান করতে পারেন। তখন রাসুল (সা.) আবু উবাইদা (রা.)-এর হাত ধরে ইরশাদ করেন, এই ব্যক্তি এ উম্মতের আমিন তথা বিশ্বস্ত ও আমানতদার। (আল-ইসতিআব ৪/১৭১১)

আল্লামা জাহাবি (রহ.) ইয়াজিদ ইবনে রুমান সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) দারুল আরকামের প্রবেশের পূর্বে একদিন ইবনে মাজউন, উবাইদা ইবনে হারিস, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, আবু সামালা ইবনে আব্দুল আসাদ ও আবু উবাইদাহ ইবনে জাররাহ (রা.) রাসুল (সা.)-এর খেদমতে উপস্থিত হন। রাসুল (সা.) তাঁদের ইসলামের দাওয়াত দিলেন এবং ইসলামের সৌন্দর্যের কথা তাঁদের সামনে তুলে ধরেন। তখন তাঁরা সবাই একসঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করলেন। (সিয়ারু আলামিন নুবালা : ৩/৬)

ইসলাম গ্রহণের পর অন্য মুসলমানের মতো তিনিও মক্কার মুশরিকদের জুলুম-নির্যাতনের শিকার হন। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে হাবশায় হিজরতকারী দ্বিতীয় দলের সঙ্গে তিনি হাবশায় হিজরত করেন। এরপর মদিনায় হিজরত করেন। সেখানে সাদ ইবনে মুআজ (রা.)-এর সঙ্গে তাঁর ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। (আসহাবে রাসূলের জীবনকথা : ১/৯০)

আবু উবাইদা (রা.) ১৮ হিজরি তাউনে আমওয়াস তথা—আমওয়াসের মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে সিরিয়ায় ইন্তেকাল করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৫৮ বছর। মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) তাঁর জানাজা পড়ান। (আল-ইসতিআব : ৪/১৭১১; উসদুল গাবাহ ৫/২০৬)

এনটি