প্রতীকী ছবি

বদর যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সাহাবীদের আল্লাহ ও তার রাসূল অনেক সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। হজরত জিবরাঈল (আ.) নবী (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করেন, আপনারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের কিভাবে মূল্যায়ন করেন? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সর্বোত্তম মুসলিম হিসেবে অথবা অনুরূপ কিছু। হজরত জিবরাঈল (আ.) বলেন, অনুরূপ ফেরেশতাদের মধ্যেও যারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৭৭১) 

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, অপর হাদিসে রাসুলে আকরাম (সা.) বদর যুদ্ধে শহীদ একজন সাহাবিকে জান্নাতের সুসংবাদ দান করেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে মহানবী (সা.) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ক্ষমার সুসংবাদ দান করেছেন।

ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ব্যাপারে অবগত আছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের যা ইচ্ছা করো। আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি।’ হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, ‘এমন মহান সুসংবাদ বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছাড়া আর কেউ পায়নি।’ (ফাতহুল বারি, খ--৭, পৃষ্ঠা ৩০৫) 

একইভাবে রাসুলুল্লাহ (সা.) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের জাহান্নাম থেকে মুক্তির সুসংবাদ দিয়েছেন। হজরত জাবের (রা.) বর্ণিত, হজরত হাতেব (রা.)-এর একজন দাস রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে তার বিরুদ্ধে নালিশ করল এবং সে বলল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), নিশ্চয় হাতেব জাহান্নামে যাবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি মিথ্যা বলেছ। সে জাহান্নামে যাবে না। কেননা সে বদর ও হুদাইবিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিল।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৪৯৫) 

বদর যুদ্ধের অংশগ্রহণকারীদের এই অপরিমেয় সম্মান ও মর্যাদার কারণ ব্যাখ্যা করে আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, এটা নিছক কোনো যুদ্ধ ছিল না। এটা ছিল ইসলাম ও মুসলমানদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। এর প্রকৃত রূপ ছিল অকল্পনীয় রকম কঠিন এবং প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। এ জন্য শরিয়ত প্রণেতা (রাসুলুল্লাহ সা.) তাদের মর্যাদাপূর্ণ জান্নাত ফেরদাউসের উচ্চ স্তর লাভের ঘোষণা দিয়েছেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খ--৫, পৃষ্ঠা ২৫) 

লেখক: ইসলামিক স্কলার ও মানবাধিকার কর্মী