প্রতীকী ছবি

সন্তান মা-বাবার চোখের শীতলতা। বাবা-মার জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার। পবিত্র আল-কুরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ধন, ঐশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের অলঙ্কার-শোভা (সুরা কাহাফ: ৪৬)। 

অন্যত্র আল্লাহতায়ালা বলেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডের রাজত্ব একমাত্র আল্লাহ তায়ালারই। তিনি যাকে ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদের দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষামাশীল (সুরা শুরা: ৪৯-৫০)। 

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্রই প্রথমে নবজাতককে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ডান কানে আজান ও বাঁ কানে ইকামত দেওয়া। রাসুল (সা.) হজরত হাসান (রা.)-এর কানে আজান দিয়েছিলেন। (তিরমিজি ১/২৭৮) 

মৃত শিশু জন্ম নিলে করণীয়

তবে কারো মৃত সন্তান জন্ম নিলে মৃত শিশুকে গোসল দিতে হবে, কাফন পরাতে হবে এবং কবরে দাফন করতে হবে। বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে শিশুর নাম রাখতে হবে।’ (দুররুল মুখতার, হেদায়া)

তারপর একটি কাপড়ে পেঁচিয়ে দাফন করে দিতে হবে। মৃত ভূমিষ্ট শিশুর জানাজা পড়ার নিয়ম নেই। জাবের রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

الطِّفْلُ لاَ يُصَلَّى عَلَيْهِ، وَلاَ يَرِثُ، وَلاَ يُورَثُ حَتَّى يَسْتَهِلَّ

শিশুর জানাজ নামাজ পড়া হবে না…( যদি সে না কাঁদে)। তবে যদি জন্মের পর কাঁদে তথা জীবিত জন্ম নেয় (তাহলে তার জানাজা পড়তে হবে…)। (তিরমিজি ১০৩২)

আরেক হাদিসে এসেছে, ‘না কাঁদলে জন্ম নেয়া নবজাতক মিরাছ পাবে না। এবং তার জানাজাও পড়া হবে না যদি না কাঁদে। তবে যদি কাঁদে তাহলে তার জানাজা পড়া হবে এবং মিরাছ পাবে।’ (দারেমি ৩১৭৪)

ফাতাওয়া হিন্দিয়াতে এসেছে,

من استهل بعد الولادة سمى، وغسل وصلى عليه

যে শিশু জন্মের পর কাঁদবে তার নাম রাখা হবে, গোসল দেয়া হবে, জানাজা পড়া হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫৯)